সরকারি গাড়িতে ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে গাজীপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোসা. ফেরদৌস বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে গাড়ির চালক মো. খোকন আহমেদকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শরীফুল আলমকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ আগস্ট ১৩১ বোতল ফেনসিডিল বহনকালে গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত সরকারি গাড়ি কুমিল্লা জেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক হয়। গাড়িটি গাজীপুর সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোসা. ফেরদৌস বেগম সরকারি বাহন হিসেবে ব্যবহার করেন। মাদক বহনকালে গাড়ি আটকের সংবাদ ২২ আগস্ট (সোমবার) একটি বেসরকারী টেলিভিশনের (যমুনা টেলিভিশন) সংবাদে প্রচার হয়। অনুমতি ব্যতীত জেলার বাইরে গাড়ি চালানোর বিষয়টি এ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয়, মোসা. ফেরদৌসী বেগম এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের সামিল। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ৩ (খ) ও ৪ (৩) অনুযায়ী গুরুদণ্ড আরোপযোগ্য।
একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়েছে, কর্মস্থলের বাইরে কুমিল্লা জেলায় মাদক বহনকালে নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি গাড়ি ও তার চালক আটক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসের প্রধান হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কর্তব্য পালনে অবহেলা প্রদর্শনের কারণে ২ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-এ জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও একই দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ স্বাক্ষরিত অপর একটি পত্রে বলা হয়েছে, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগ, গাজীপুরের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২৮৪৫) ১৩১ বোতল ফেনসিডিলসহ গত ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) কুমিল্লা জেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক হয়। গাড়িটির চালক মো. খোকন আহমেদ কুমিল্লায় সরকারি গাড়িটিতে মাদক বহনকালে আটক হন। উল্লেখিত গাড়ি চালক সরকারি কর্মচারি নন এবং শ্রমিক মজুরি কোডে নিয়োজিত আছেন। এমতাবস্থায় শ্রমিক মজুরী কোডে নিয়োজিত মো. খোকন আহমেদকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।