ইংল্যান্ডে হাঁটুর চিকিৎসা নিয়ে চোট সেরে বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন পাকিস্তানের পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আর শাহিনের এই চিকিৎসা বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক’ বক্তব্য দেন শহিদ আফ্রিদি।
শাহিনের চিকিৎসায় নাকি কোনো অর্থই খরচ করেনি পিসিবি। হবু জামাতার চিকিৎসায় তিনি নিজে ইংল্যান্ডে টাকা পাঠিয়েছিলেন।
আফ্রিদির এমন দাবির পর পাকিস্তান ক্রিকেটে তোলাপাড় শুরু হয়। পাকিস্তানের এ মুহূর্তের সেরা পেসারের জন্য এই কৃপণতা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনায় বিদ্ধ পিসিবি।
এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে আফ্রিদির দাবিকে নাকোচ করে দিয়ে বক্তব্য দিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা।
রমিজের দাবি, বিতর্ক উসকে দিতেই এসব মন্তব্য করেছেন শাহিনের ‘হবু শ্বশুর’ আফ্রিদি।
রমিজ রাজার ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে এক সমর্থক মন্তব্য করেন, শাহিনের জন্য পিসিবির সব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সেই মন্তব্যের জবাবে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা (পিসিবি) শাহিনকে চিকিৎসা করাবে না, এটি কেউ কীভাবে ভাবতে পারে? এটি অসম্ভব। পিসিবি তাকে নিজের ওপর ছেড়ে দেবে— এটি তো ভাবনারও বাইরে। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিতর্ক উসকে দিতে এসব কথা বলা হয়। পিসিবি তার খেলোয়াড়দের জন্য যা করে, আর কোনো ক্রিকেট বোর্ড এতটা করে না। সেটি আন্তর্জাতিক বলুন আর ঘরোয়া ক্রিকেটই বলুন।’
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে শাহিনের চোট সেরে বিশ্বকাপ দলে যোগদান নিয়ে কথা বলেন শহিদ আফ্রিদি।
পিসিবির ওপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, ‘শাহিন ওর নিজের টাকায় ইংল্যান্ডে গিয়েছিল। নিজের খরচে ইংল্যান্ডে থেকেছে। এখান থেকে ডাক্তারের ব্যবস্থা করেছিলাম আমি। তবে ওখানে গিয়ে ও নিজেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পিসিবি ওর চিকিৎসার জন্য কিছুই করেনি।’
পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সফরের ডিরেক্টর জাকির খানই শুধু শাহিনের খোঁজ নিয়েছিলেন বলে জানালেন আফ্রিদি। খোঁজ নিলেও কোনো টাকা-পয়সা দিয়ে শাহিনকে সহায়তা করেননি বলে দাবি করেন আফ্রিদি।
বুমবুম আফ্রিদি বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে লন্ডনে হোটেল রুম এবং খাবারের খরচ, ডাক্তারের প্রেসক্রিশনের খরচসহ সবই নিজের পকেট থেকে করেছে শাহিন।’