সারাদেশে বিএনপির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির আদিতমারী উপজেলা কার্যালয়। ভাঙচুর করা হয়েছে চারটি মোটরসাইকেল। আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে জাহাঙ্গীর নামের একজন নিহত হয়েছে।
এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। এদিকে বুড়িমারী-লালমনিরহাট-ঢাকা মহাসড়কে সকাল থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যান চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে রিকশা, ভান ও অটোরিকশা চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাপ্টিবাড়ি বাজারে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে সকাল ১১টার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে উভয়পক্ষের দুইজন আহত হয়। এ সময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে একই সময় সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ বাধে। এসময় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদসহ, আওয়ামী লীগ কর্মী বিপ্লব এবং বাবলু মিয়াকে কুপিয়ে ও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে রাজু আহমেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল থেকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া, মিশন মোড় এলাকায় পুলিশের দুটি মোটরসাইকেলসহ চারটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপি সমর্থকরা।
লালমনরিহাট সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।