হসপিটালিটি ওয়েবসাইট থেকে ইসরায়েলের নাম সরিয়ে নেয়ার পরও চুপ ফিফা। এই ইস্যুতে এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরই মধ্যে কাতারের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও হোটেল ভাড়া ৪০ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। আর সুশৃঙ্খলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনে ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছে আয়োজক কাতার।
এ যেন আলোচনা আর সমালোচনার এক বিশ্বকাপ, যার পুরোটা জুড়েই কাতার। মানবাধিকার লঙ্ঘন আর সমকামিতা নিষিদ্ধে আগেই পশ্চিমা বিশ্বের তোপের মুখে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এরপর হায়া কার্ডে চীনের প্রদেশ হিসেবে তাইওয়ানের নাম। আর সবশেষ সেই তালিকায় যোগ হয়েছে হসপিটালিটি ওয়েবসাইটে ইসরায়েলের নাম না থাকা।
সবকিছুতেই চুপ ফিফা। ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানালেও এখনো মন্তব্য করেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
কাতারের বিশ্বকাপের জন্য তৈরি স্টেডিয়ামও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যাসেসমেন্টে সিস্টেমের অধীনে পাঁচ তারকা রেটিং পেয়েছে ৮০ হাজার আসন সংখ্যার লুসাইল স্টেডিয়াম। সেখানেই ১৮ ডিসেম্বর হবে ফাইনাল।
তবে আবাসন সঙ্কট কিছুতেই কাটছে না। বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রায় ১২ লাখ দর্শক ভ্রমণ করবে কাতার। যাদের সুবিধার্থে জাহাজ, তাবু, আঞ্চলিক শাটল ফ্লাইট সবকিছুই চালু করেছে আয়োজকরা। এরই মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৪০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে হোটেল-ফ্ল্যাট মালিকরা। চুক্তি থাকার পরও অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য জোর করছে বাড়ির মালিকেরা।
কিন্তু সমর্থকদের স্বস্তি দেয়ার চেষ্টায় ইতিহাদ এয়ারলাইন্স। আবু ধাবি থেকে দোহা প্রতিদিন ৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান সংস্থাটি। আসা-যাওয়ার ইকোনমি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার টাকা। আর কাতারে এক রাত থাকাসহ প্যাকেজ বেড়ে দাড়াবে দুই লাখ ১৬ হাজার টাকায়।
বিশ্বকাপ পরিচালনায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছে কাতার। ১৮০ দেশ থেকে ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক আবেদন করেছিল। হোটেল, এয়ারপোর্টস, হাসপাতাল এবং স্টেডিয়ামে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা করে টানা ১০ দিন কাজ করবেন তারা।
সবচেয়ে বেশি স্বেচ্ছাসেবক এসেছে মরোক্কো থেকে। সঙ্গে এক হাজার পুলিশও পাঠিয়েছে মরক্কো।