৮ এপ্রিল ২০২৫ মঙ্গলবার লন্ডন সময় বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৮.৩০টা পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সের কমিটি রুম ৫নাম্বারে হ্যারো ইষ্ট থেকে নির্বাচিত কনজারভেটিভ দলীয় এমপি ও প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টারী বোর্ড কনরাজভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ বব ব্লাকম্যান এমপি‘ ‘‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা শীর্ষক’’ এক সেমিনারের আয়োজন করেন।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন ব্রিটিশ লর্ড সভার সদস্য লন্ড কারলাইল।
সেমিনারে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা কর্মিরা উপস্থিত থাকলেও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মিত্র জামাতে ইসলামীর কাউকে সেখানে দেখা যায়নি। এমনকি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশ মিশনের কেউই সেখানে উপস্থিত ছিলেননা।
আলোচনায় অংশ নেন এমনেষ্ট্রি ইন্টারন্যাশনালের ফায়েজ আব্বাস, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম. এ. মালিক, বিএনপি চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা ডা. জাহিদ হাসান প্রমুখ।
সেমিনারে লর্ড কারলাইল ও সেমিনারের হোষ্ট বব ব্লাকম্যান এমপি বলেন দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই- ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্তিতির উন্নতি হয়নি। প্রতিদিনই ঘটছে মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হচ্ছে। কোন সরকারই দেশটির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি।
মানবাধিকার ও আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন জরুরী। দেশটির সার্বিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরী। আর সেই নির্বাচন হতে হবে সকল দলের অংশ গ্রহণে। এতে দেশটির অন্তবর্তিকালীন সরকারকে যেমন নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। সেই সাথে রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে মব জাষ্ট্রিজ হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বব ব্লাকম্যান এমপি বলেন, “সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেই সাথে সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে দেশের মাইনরিটি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করা”। তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নিতি। গণতন্ত্র নিশ্চিত না হলে কোন কিছুই সম্ভব নয়।” বব ব্লাকম্যান এমপি আরো বলেন, “বাংলাদেশে যাতে আবার ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান না হয় সেদিকেও রাজনৈতিক দলগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে”।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ বলেন, “বিগত আওয়ামীলীগ সরকার দেশেকে একটি কারাগারে পরিণত করে রেখেছিল। বিএনপির শত শত কর্মীকে গুম করেছে। আয়নাঘরে নিয়ে বিনা বিচারে বন্দি করে রেখেছিল। এখনও আমাদের শত শত কর্মী নিখোঁজ, তাদের হত্যা করেছে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করতে গিয়ে দেশটাকে একটা কারাগারে পরিনত করেছিল। দেশের মানুষ গুম খুনের বিচার চায়। ৫ আগষ্টের পর দেশে কোন সরকার ছিলনা। আমাদের নেতা কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাড়িয়েছে।”