‘অসাধারণ’, ‘মাইলস্টোন’ এসব অভিধা ক্লিশে মনে হবে মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি দেখলে। কেননা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এমন চলচ্চিত্র আগে নির্মিত হয়নি।
একটি মাছ ধরার ট্রলার বা বোটকে কেন্দ্র করে ‘হাওয়া’-র গল্প গড়ে উঠেছে। এতে দেখা যায়, চাঁন মাঝি, নাগু, ইব্রাহিম, উরকেস, পারকেসসহ কয়েকজন জেলে বোটে চড়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। একদিন হঠাৎ তাদের জালে এক নারী (গুলতি) ধরা পড়ে। শুরুতে তাকে মৃত ভাবা হলেও দেখা গেল, সে জীবিত। এ নারীটি ট্রলারে আবিভূর্ত হওয়ার পর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা মাছ না ওঠা, তেলের ড্রাম ফুটো হওয়া…। এক সময় পুরো ট্রলারেই বেঁধে যায় হাঙ্গামা।
চলচ্চিত্রটি শুরু হয় বন্দর থেকে। মানুষজনের ভিড়। চাঁন মাঝিকে দেখা যায়, একটি সেলুনে শেভ করছেন। একজন ক্যানভাসার লোকদের উদ্দেশে বলছে, ‘এই দুনিয়ায় আমিও দুইবার মইরা গ্যাছিলাম। আমার লগেরগুলা মইরা ভূত হইয়া গ্যাছে। আমি শুধু বাঁইচা গ্যাছি।’ ক্যানভাসারের কথায় কেমন যেন হেঁয়ালি। আসলে সে চিত্রনাট্যকার-পরিচালকেরই বার্তা বহন করছে। ইংগিত দিচ্ছে ছবিটির প্রকৃতি সম্পর্কে। এক পর্যায়ে সে বলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কথা। হ্যাঁ, ‘হাওয়া’-য় বিশ্বাসযোগ্য বিষয়ের পাশাপাশি অবিশ্বাস্য বিষয়ও রয়েছে।
আমরা দেখি, চাঁন মাঝি একটি খাঁচায় বন্দি পাখিসহ বোটে ওঠে। তার নির্দেশে ইব্রাহিম ইঞ্জিন চালু করে। মাস্তুলে বসে চাঁন মাঝি দিকনির্দেশনা দেয়। বোট এগিয়ে চলে। গভীরে সমুদ্রে, যেখানে মাছের বসতি, সেখানে বোট নোঙ্গর করে। জেলেরা জাল ফেলে সমুদ্রে। এক সময় জালে মাছের অস্তিত্ব অনুভব করে তারা। জাল গুটিয়ে ফেলে। সেই জালে ধরা পড়া অসংখ্য মাছ তারা ডেকে স্তুপ করে। সেসব মাছ বোটের নিচের সংরক্ষণঘরে নিয়ে যায়। বরফ দিয়ে যত্ন করে রাখে। এভাবে দর্শকদের চোখের সামনে একদল জেলের জীবন ফুটে উঠে। দর্শকেরা তখন সম্মোহিত। হ্যাঁ, তারা তো সত্যিকারের জেলেদেরই দেখছেন। এভাবেই চলচ্চিত্রকার দর্শকদের বিশ্বাস অর্জন করেন।
এরপরই গল্প নতুন দিকে মোড় নেয়, অবিশ্বাস্য ঘটনার দিকে,পরাবাস্তব বা মিথ আশ্রিত আধুনিক রূপকথার দিকে। আর এ ব্যাপারটির সূচনা ঘটে বেদেনি গুলতির আবির্ভাবের পর। সে যে সাধারণ কোনো নারী নয়, সেটির আভাস দেন চলচ্চিত্রকার নেশাগ্রস্ত নাগুর (নাসিরউদ্দিন খান) চোখে জালের মাঝে ধরা পড়া গুলটিকে একটি মাছ হিসেবে দেখিয়ে। পরে পেঁয়াজের খোসার মতো অবিশ্বাস্য গল্পের জট খুলতে থাকেন চলচ্চিত্রকার। ক্রমশ গুলতির রহস্যময়তাও গাঢ় হতে থাকে গুলতির সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে গিয়ে চান মাঝিসহ আরেকজন নাস্তানাবুদ হয়, বোবা গুলতির মুখে কথা ফোটে, মাছ কম ধরা পড়ছে, এ কথা শুনে অন্য একটি বোটের মাঝি সংরক্ষণঘরে উঁকি দেয়, গুলতি সেখানেই লুকিয়ে ছিল অথচ তাকে তখন দেখা যায় না, ইব্রাহিমের মুখে যখন গুলতি শোনে যেহেতু মাছ ধরা পড়ছে না সেহেতু তারা বন্দরে ফিরে যাবে, তখন গুলতি বলে , ‘আর যদি মাছ ধরা পড়ে?’ এরপর সত্যি জেলেরা কল্পনাতীত মাছ পায়…! এক সময় জানা যায়, সে বেদের মেয়ে। বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, চাঁন মাঝিকে খুন করার জন্য সে এ বোটে আশ্রয় নিয়েছে।
আর এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে দেবী তাকে মাছে রূপান্তরিত করে। এ পর্যায়ে বোদ্ধা দর্শকদের মানসপটে ভেসে ওঠে চাঁদ সওদাগর ও মনসার উপাখ্যান। তারা ভীষণ বিস্মিত হয় আর তা চূড়ান্ত পর্যায় লাভ করে শেষ পর্যায়ে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হলো, শিল্পের একটি অবগুণ্ঠন থাকে আর সেটি এখানে উন্মোচন করে দিয়েছেন চলচ্চিত্রকার-চিত্রনাট্যকার। এটি না করলে কি হতো না? ছবিটি কি এভাবে শেষ হতে পারত না মাস্তুলের উপরে মৃত ইব্রাহিম, একটি সাপ গলা পেঁচিয়ে তাকে প্রগাঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করেছে! অবশ্য এ কথাও আমি কবুল করছি যে, বিষয়টি সব শ্রেণির দর্শকদের কাছে বোধগম্য হতো না। দর্শকদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য এমন করেছেন চলচ্চিত্রকার। তার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল, দর্শকদের একটি প্রবল ধাক্কা দেওয়া। এক্ষেত্রে তিনি বেশ সফল।
যে-কোনো মহৎ শিল্পের কয়েকটি স্তর থাকে, যা দর্শক-সমালোচকদের অন্য ভাবনায় তাড়িত করে। ‘হাওয়া’-রও এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন, জেলেদের সঙ্গে চাঁন মাঝির ব্যবহার দেখে মনে হয় এ যেন শাসক-শাসিতের সম্পর্ক। চাঁন মাঝি উপড়ি আয়ের জন্য সব সময় মাঝ নদীতে কিছু মাছ অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেয়, মহাজন জানতে পারে না। বলাই বাহুল্য, মাছ বিক্রির এ টাকার সিংহভাগ কুক্ষিগত করে চাঁন মাঝি। এ ব্যাপারে ইব্রাহিম প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। সে টাকার সমান-সমান অংশ দাবি করে। তাকে সমর্থন করে নাগু। তখন তাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে চাঁন মাঝি। এভাবে ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতি অনুসরণ করে সে।…চাঁন মাঝি বড় স্বার্থপর। তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালে কয়েকজন জেলেকে খুন করতেও দ্বিধা করে না, খেতে দ্বিধা করে না পোষা পাখিকেও। তখন তাকে ভীষণ ভীতিকর মনে হয়, রাক্ষসের মতো লাগে।
এদেশে গত শতকের আশির দশকের শুরুতে বিদেশি কাহিনি অবলম্বনে ‘গাংচিল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন রুহুল আমিন। মূল কাহিনি অর্থাৎ জ্যাক লন্ডনের বিখ্যাত উপন্যাস ‘সী উলফ’-এর গল্প গভীর সমুদ্রের, এক বিচিত্র চরিত্রের জাহাজের ক্যাপ্টেনের। রুহুল আমিন মূল কাহিনির স্বাদ চলচ্চিত্রে সঞ্চার করতে ব্যর্থ হযেছেন, গভীর সমুদ্রে শুটিং করতে পারেন নি বাজেট স্বল্পতার জন্য অথবা সেই উদ্যোগ গ্রহণই করেন নি। মেজবাউর রহমান সুমন অবশ্য ‘হাওয়া’-য় শুধু গভীর সমুদ্রের গল্পই বলেন নি, তার চলচ্চিত্র নান্দনিক দ্যুতিতেও উদ্ভাসিত। যেমন, চলচ্চিত্র মানেই ইমেজ আর শব্দের খেলা। শুরুতে ইমেজ তথা সিনেমাটোগ্রাফির কথা বলা যাক। এক্ষেত্রে কামরুল হাসান খসরুর কাজ অসাধারণ। কোনো কোনো শট দেখে মনে হয়, এটি তিনি কী করে ক্যামেরাবন্দি করলেন? তার ক্যামেরায় ‘হাওয়া’-য় ধরা পড়েছে সমুদ্রের দিন-রাত্রি-সকাল-সন্ধ্যা-দুপুর, সূর্যের আলোর সঙ্গে সমুদ্রের ঢেউয়ের নাচন, জলের ভেতর তিমির অবগাহন, জোছনা রাতে সমুদ্রের অপরূপ রূপ…। আর কালার গ্রেডিং সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বিভিন্ন দৃশ্য বা শটের মেজাজ বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে।
এবার শব্দের প্রসঙ্গ। আনুষঙ্গিক শব্দ বেশ যথাযথ বন্দরে মানুষের কোলাহল, নরসুন্দরের ক্ষুরের শব্দ, বোটের ইঞ্জিনের শব্দ, জেলেদের জাল ফেলা বা গুটিয়ে ফেলার শব্দ, বরফ পড়ার শব্দ, বোটের উপরে হাঁটা বা দৌড়ানোর শব্দ…। সংলাপ অবশ্য দুএকটি জায়গায় অস্পষ্ট লেগেছে। তবে সবচেয়ে কানে বেজেছে সংলাপের একই টোন, কাছে বা দূরে কোনোই পরিবর্তন নেই! দুটি উদাহরণ হলো, বোটের মাঝিদের সংলাপ লং শটে বন্দরের তীর থেকে একইভাবে শোনা যায়, শোনা যায় টপ শটে সমুদ্রের ওপর থেকেও।
সম্পাদনা প্রসঙ্গে বলা যায়, ছবির প্রথমার্ধ একেবারে টানটান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা মন্থর। এখানে সম্পাদক সজল অলকের কাচি নির্দয় হওয়া উচিত ছিল।
অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী নিজেকে ভেঙেছেন। চাঁন মাঝির চরিত্রে তার দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখে কেউ ভাবতেই পারেন, তার সেরা অভিনয় কোন চলচ্চিত্রে? ‘মনের মানুষ’, ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’ নাকি ‘হাওয়া’-য়? যাই হোক এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, চঞ্চলের সেরা অভিনয়ের অন্যতম চরিত্র চাঁন মাঝি। ‘পরাণ’-এর পরপরই শরিফুল রাজের অভিনয় সমৃদ্ধ আরেকটি স্মরণীয় চরিত্র (ইব্রাহিম) দেখা গেল ‘হাওয়া’-য়। ওটিটিতে নাজিফা তুষি ভালো করছেন, তবে ‘আইসক্রিম’-এর পর বড়পর্দায় এটাই তার কামব্যাক। আর কী দারুণ কামব্যাক! এখানে অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার উত্তরণ ঘটেছে অনেকখানি। ‘হাওয়া’-য় তুষি অভিনয় করেছেন একমাত্র নারী চরিত্র বেদেনি গুলতির ভূমিকায়। ছবির অনেকখানি অংশে এ চরিত্রটি ছিল বোবা। তখন তার নীরব অভিব্যক্তিও ছিল বাক্সময়। চরিত্রটি সবাক হওয়ার পর সংলাপ প্রক্ষেপণ থেকে শুরু করে চোখের চাহনি সবকিছুতেই তিনি গুলতি হয়ে উঠেছেন, তার অভিনয়ে রহস্যময়তা ঝরে পড়েছে। আর দুজনের কথাও আলাদা করে বলতে হয়, নাসিরউদ্দিন খান ও সোহেল মণ্ডল। তারাও চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
আমরা জানি, গান ছবির গতিকে ব্যাহত করে। আরোপিত মনে হয়। তবে বাদ্যযন্ত্রসহ পারফরমারদের যদি গানটি গাইতে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সেটি ছবির অংশ হয়ে ওঠে। ‘হাওয়া’-য় ‘সাদা সাদা কালা কালা’ তেমনই একটি গান। এখানে খমক ছাড়া আর যেগুলো বেজেছে সবই অ-যন্ত্র কাঠ, বাঁশ, হাঁড়ি, পাতিল ইত্যাদি। আর এরফান মৃধা শিবলীর কণ্ঠও জেলেদের সঙ্গে মানিয়ে গেছে।
ছবিতে বিভিন্ন দৃশ্য ও বিশেষ মুহূর্তে যে আবহসংগীত শোনা গেছে, তা পরিবেশকে জীবন্ত করে তুলেছে। রহস্য, রোমাঞ্চ, আতঙ্ক, উত্তেজনা সব অনুভূতিই আবহসংগীতের কল্যাণে দর্শক চেতনায় গেঁথে যায়। এমন আবহসংগীত শুনলে মনে আশা জাগে, এদেশের চলচ্চিত্রে আবহসংগীতের যে দৈন্য দশা তা নিশ্চয় কেটে যাবে। এবার দুটি প্রসঙ্গ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন, ‘হাওয়া’ একটি কোরিয়ান চলচ্চিত্রের নকল। এটি যে ভিত্তিহীন কথা, সেটি পরে অন্যরা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।…এদেশের তথাকথিত চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বলেছেন, ‘হাওয়া’-য় প্রচুর গালি রয়েছে, যা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখতে গেলে অস্বস্তি বোধ হয়। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, প্রথমত ‘হাওয়া’-য় প্রচুর গালি রয়েছে, এটি মিথ্যা কথা। দ্বিতীয়ত, যে কয়েকটি গালি রয়েছে তা সামাজিক প্রেক্ষিত ও জেলে সমাজের ন্যাচার তথা প্রকৃতিকে তুলে ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। অন্য কথায়, এসব গালি নয় বুলি।
যেমন, ঢাকার আদি বাসিন্দারা অহরহ যেসব কথা বলে সেসব আমাদের কাছে গালি মনে হলেও সেগুলো আসলে ঢাকাইয়াদের ‘বুলি’। ওইসব কথা আসলে তারা আক্ষরিক অর্থে প্রয়োগ করে না বা বোঝায় না। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রে গালি প্রসঙ্গে মাত্র দুটি উদাহরণ তুলে ধরছি। এটিএম শামসুজ্জামানের চিত্রনাট্য ও সংলাপে নির্মিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে প্রচুর গালি রয়েছে, যা ছবির প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, ছবিটি শুরুই হয়েছে ‘খানকির পোলা’, এ গালিটির মাধ্যমে। এক্ষেত্রে গালিটি যার উদ্দেশে প্রয়োগ করা হয়েছে, সেই কদম আলী (এটিএম শামসুজ্জামান) হলো এক ব্যক্তির জারজ সন্তান। এ চরিত্র এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি চরিত্রের সামাজিক প্রেক্ষিত ও মন-মানসিকতাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য ‘দায়ী কে?’ ছবিতে নানা গালি ব্যবহৃত হয়েছে। ‘হাওয়া’-য়ও এ উদ্দেশ্যে কয়েকটি গালি ব্যবহৃত হয়েছে।…বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজিত ও রাজেন তরফদার পরিচালিত ‘পালঙ্ক’ ছবিতে মকবুল (আনোয়ার হোসেন) স্ত্রীকে (সন্ধ্যা রায়) ‘মাগি’ বলে সম্বোধন করে রেগেমেগে, কখনো আবার আদর করেও। ছবির ক্ষয়িষ্ণু সামন্ত শ্রেণির প্রতিনিধি বিপত্নীক ধলা কর্তা (উৎপল দত্ত) নিশ্চয় স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তাকে ‘মাগি’ বলে সম্বোধন করতেন না! এখানে মকবুল ও ধলা কর্তা দুটি চরিত্রের শ্রেণিই আলাদা। আলাদা তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বোধ।
যাহোক, প্রথম চলচ্চিত্রেই মেজবাউর রহমান সুমন চলচ্চিত্রকার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন। আমরা ‘হাওয়া’-য় পেয়েছি অচেনা সৌরভ!