টেবিলে পয়সা ঠুকে একমনে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মোহিত করছেন সিরাজগঞ্জের ক্ষুদে শিল্পী সুমন শেখ (১৪)।
তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত দর্শকরা খুশি হয়ে যে টাকা দিচ্ছেন তা দিয়ে সে তার বাবা মাকে সংসার চালাতে সাহায্য করছেন।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান সুমনকে লেখাপড়ার জন্য স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর আর স্কুলে যায়নি সে। পড়ার টেবিল ও বেঞ্চে মন না বসলেও গানের প্রতি ছিলো তার বেশি আগ্রহ। সেই জন্য টেবিল ও বেঞ্চে কয়েন ঠুকে প্রায় ৫ বছর ধরে সে সিরাজগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও গ্রামগঞ্জে গান করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শালুয়াভিটা গ্রামে সুমনের বাড়ী। তার পিতা আল-আমিন শেখ (৪২) দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। মা সুমি বেগম (৩৫) গৃহিনী। ছোট বোন আরফিন (৬)। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সুমনের পরিবার বড়ই অসহায়। তারা যদি নিয়মিত কিছু আর্থিক সহায়তা পেত তবে তাদের জীবনধারণ আর একটু সহজ হতো। তার বাবা যখন যে কাজ পায় তখন সে কাজ করে। তার উপার্জন দিয়ে চার সদস্যের পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে তার হিমশিম খেতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সুমনের গান বিভিন্ন ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করে টাকা উপার্জন করছেন অনেকেই। কিন্তু যথেষ্ট পরিমান টাকা পাচ্ছে না সুমন। কিন্তু কপিরাইট আইনে তারও সেখান থেকে রিয়ালিটি পাওয়ার কথা, সেটা পেলেও তাদের চলার পথ আরো একটু সহজ হতে পারতো। সরকারের তরফ থেকে বিষয়টায় একটু নজর দিলে নিজের প্রাপ্য বুঝে পেতো সুমনের পরিবার।
সুমনের বাবা আল-আমিন ও মা সুমি বেগম বলেন, প্রথম ছেলে হওয়ায় লেখাপড়া করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এক দিকে আর্থিক অনটন অপর দিকে লেখাপড়ায় অমনযোগী সুমন লেখাপড়া করেনি। তার গানের প্রতি ছিল বেশি আগ্রহ। সুমন সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া এলাকায় শহর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে গান গায়। তার বয়স কম, গানের গলা মধুর, তাই অনেকেই তাকে ভালোবাসে। সরকার যদি সুমনের প্রতি একটু সুনজর দেয় তাহলে সে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করছি।
সুমন তেমন পড়ালেখা জানে না। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনে শুনে প্রায় ৪২টি বাউল, জারি-সারি ও মুর্শিদী গান মুখস্ত করেছে সে।
টেবিলে পয়সা ঠুকে একমনে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মোহিত করছেন সিরাজগঞ্জের ক্ষুদে শিল্পী সুমন শেখ (১৪)।
তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে উপস্থিত দর্শকরা খুশি হয়ে যে টাকা দিচ্ছেন তা দিয়ে সে তার বাবা মাকে সংসার চালাতে সাহায্য করছেন।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান সুমনকে লেখাপড়ার জন্য স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর আর স্কুলে যায়নি সে। পড়ার টেবিল ও বেঞ্চে মন না বসলেও গানের প্রতি ছিলো তার বেশি আগ্রহ। সেই জন্য টেবিল ও বেঞ্চে কয়েন ঠুকে প্রায় ৫ বছর ধরে সে সিরাজগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও গ্রামগঞ্জে গান করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শালুয়াভিটা গ্রামে সুমনের বাড়ী। তার পিতা আল-আমিন শেখ (৪২) দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। মা সুমি বেগম (৩৫) গৃহিনী। ছোট বোন আরফিন (৬)। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সুমনের পরিবার বড়ই অসহায়। তারা যদি নিয়মিত কিছু আর্থিক সহায়তা পেত তবে তাদের জীবনধারণ আর একটু সহজ হতো। তার বাবা যখন যে কাজ পায় তখন সে কাজ করে। তার উপার্জন দিয়ে চার সদস্যের পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে তার হিমশিম খেতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সুমনের গান বিভিন্ন ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করে টাকা উপার্জন করছেন অনেকেই। কিন্তু যথেষ্ট পরিমান টাকা পাচ্ছে না সুমন। কিন্তু কপিরাইট আইনে তারও সেখান থেকে রিয়ালিটি পাওয়ার কথা, সেটা পেলেও তাদের চলার পথ আরো একটু সহজ হতে পারতো। সরকারের তরফ থেকে বিষয়টায় একটু নজর দিলে নিজের প্রাপ্য বুঝে পেতো সুমনের পরিবার।
সুমনের বাবা আল-আমিন ও মা সুমি বেগম বলেন, প্রথম ছেলে হওয়ায় লেখাপড়া করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এক দিকে আর্থিক অনটন অপর দিকে লেখাপড়ায় অমনযোগী সুমন লেখাপড়া করেনি। তার গানের প্রতি ছিল বেশি আগ্রহ। সুমন সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া এলাকায় শহর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে গান গায়। তার বয়স কম, গানের গলা মধুর, তাই অনেকেই তাকে ভালোবাসে। সরকার যদি সুমনের প্রতি একটু সুনজর দেয় তাহলে সে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করছি।
সুমন তেমন পড়ালেখা জানে না। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনে শুনে প্রায় ৪২টি বাউল, জারি-সারি ও মুর্শিদী গান মুখস্ত করেছে সে।