মিস ইউনিভার্সের চিরাচরিত ভাবনাকে ভেঙে দিলেন মিস নেপাল জেন দীপিকা গ্যারেট। প্রথম প্লাস সাইজ মডেল হিসেবে এবারের মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে গর্বের সঙ্গে বিউটি পেজেন্টের মঞ্চে নিজের লেখালেন।
রোববার ১৯ নভেম্বর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিচার ছিল মধ্য আমেরিকার এল সালভাদরে। সেখানে দীপিকার মাথায় জয়ের মুকুট না জুটলেও প্রাপ্তির ঝুলি ঠিকই ভরে নিয়েছেন প্লাস সাইজের আত্মবিশ্বাসী ২২ বছরের মেয়েটি।
মিস ইউনিভার্সের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো প্লাস সাইজ মডেল অংশ নিলেন। সুইমস্যুট রাউন্ডে তিনি সবার নজর কেড়ে নেন। তার কনফিডেন্স, তার সৌন্দর্য সবার মন কেড়ে নেয়। মেটালিক গ্রিন সুইমস্যুট পরে তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাঁটতে দেখা যায়। সঙ্গে পরেছিলেন স্ট্র্যাপ হিল এবং বড় কানের দুল। সাজ সম্পন্ন করতে খুলে রেখেছিলেন চুল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী দীপিকা জানিয়েছেন, এখানে এসে পৌঁছনোটাই তার কাছে একটা বড় বিষয় ছিল। কারণ তার আগে আর কোনও পৃথুলা চেহারার মহিলাকে মূল ধারার কোনও সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চে দেখা যায়নি। সেই অর্থে তিনি এই নিয়ে ট্যাবু ভাঙলেন। তার পর আগামী দিনে চাইলে আরও প্লাস সাইজ নারী সাহস করে সৌন্দর্যের দুনিয়া জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারবেন।
দীপিকা মনে করেন, ‘প্রত্যেক মহিলাই নিজের মতো করে সুন্দর। শুধু সেই সৌন্দর্যকে চিনতে হবে। ভালবাসতে হবে নিজেকে।’ বছর কয়েক আগে তিনি নিজেও নিজের চেহারা নিয়ে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতেন জানিয়ে দীপিকা বলেছেন, ‘এখন আমি নিজেকে ভালবাসি। আর এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
শরীরের গড়ন নিয়ে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। অনেকে মানসিক অবসাদে ডুবে যান। দীপিকার বিশ্বাস, তার এই সামান্য চেষ্টা এই মেয়েদেরও আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
দীপিকা জানেন, কারণ তিনি নিজেও এক সময় এই অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মনের জোরে সেই বাধা পেরিয়ে এসেছেন। এখন তিনি ফিটনেসে কোন তন্বীর থেকে কম যান না। আর মনে করেন সৌন্দর্যকে ফিতেয় বেঁধে রাখা যায় না।
জেন দীপিকা গ্যারেট পেশায় একজন নার্স এবং ব্যবসায়ী। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য এবং বডি পজিটিভিটি ছড়ানো নিয়েও কাজ করে থাকেন।