গেল ৬ জুন ২০২৫ হিন্দু এইড ইউকের বার্ষিক সধারণ সভা (এজিএম) সেন্ট্রেল লন্ডনের হায়দ্রাবাদ-প্যারাডাইস-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের সদস্য, সমন্বয়কারী ও শুভাকাঙ্খিরা উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সভায় মানবিক প্রচেষ্টার এক বছরের উল্লেখযোগ্য কাজের বিবরণ এবং ভবিষ্যত কাজের কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশে ২০২৬ এপ্রিলে নির্বাচন, আওয়ামী লীগ লড়বে? হাসিনার পরিকল্পনার কথা জানালেন ওবায়দুল কাদের
সভার শুরুতে হিন্দু এইড ইউকে-এর প্রধান সমন্বয়কারী ডঃ সুকান্ত মৈত্র সভায় উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ঐক্য এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার তার অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি হিন্দু এইড ইউকে-এর অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধ তুলে ধরে বলেন, যারা এই নীতিতে বিশ্বাস করেন তাদের সকলকে একই উদ্দেশ্যে অবদান রাখতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
অ্যাডমিন কোঅর্ডিনেটর বাবু অনুপম সাহা পূর্ববর্তী বছরের বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সকলের হাতে তুলে দেন এবং সংগঠনের অর্জনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল সফল গালা ডিনার, সংস্থার আবাসিক হিন্দু যুব শিবির এবং স্থানীয়ভাবে ও বিদেশে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ ইত্যাদি তুলে ধরেন। সভায় কার্যবিবরণী সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এরপর বাবু অনুপম সাহা বার্ষিক অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, এতে ২০২৪ সালের মার্চ থেকে পরিচালিত ১৫টি স্বেচ্ছাসবী সংগঠনের মাধ্যমে –পরিচালিত প্রজেক্টগুলোর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। কোষাধ্যক্ষ বাবু সুজয় সাহা আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বাবু তপন সাহা সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার উপর কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন।
বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস-পার্টির রোহিঙ্গা নিয়ে পদক্ষেপের আহ্বান
খাতওয়ারী আপডেটগুলি অনুসরণ করা হয়। বাবু অনুপম সাহা প্রশাসনিক এবং আর্থিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিবরন দেন। মিস শুচিস্মিতা মৈত্র যুব সমন্বয়ের উপর একটি রিপোর্ট পেশ করেন। মিসেস নন্দিতাসাহা সাংস্কৃতিক দলের প্রতিবেদন অনলাইনে জমা দেন, মিঃ দীপ শর্মা গালাডিনার ও ম্যাগাজিনের উপর আলোকপাত করেন। বাবু শান্তনু দাশগুপ্ত বিদেশী প্রকল্পগুলি উপস্থাপন করেন। বাবু মিহির সরকার বর্তমান প্রকল্প সম্পর্কে তার আপডেটগুলি তুলে ধরেন এবং সংস্থার পরিধি বৃদ্ধির উপর জোর দেন। বাবু পিল্টন দে প্রকল্পগুলি পৃথক করেন। বাবু কমল সাহা যোগব্যায়াম এবং মননশীলতার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ কর্মসূচি চালু করার প্রস্তাব করেন। বাবু অধীর দাস, বাবু অজিত সাহা এবং বাবু চিন্ময় চৌধুরী, সকলেই সংগঠনের জন্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। আলোচনায় হিন্দু এইড ইউকে-এর অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচেষ্টার বিষয়গুলিও উঠে আসে। এর মধ্যে সেলাই মেশিন প্রকল্প সম্পর্কে শ্রীমান অজিত সাহার একটি নোটও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শ্রীমান সুজিত সেন, শ্রীমান দীপঙ্কর সরকার, শ্রীমান অমিতাভ বণিক, শ্রীমান রঞ্জিত সাহা, শ্রীমান প্রসনজিৎ পাল, শ্রীমান নারায়ণ সহ বেশ কয়েকজন সদস্য কৌশলগত প্রস্তাবনা পেশ করেন।
শ্রীমান প্রভাংশু ভট্টাচার্য, শ্রীমান অনঘ এবং শ্রীমান শ্যামল দত্ত, ডঃ সুনীল রায় উপস্থিত সকলকে তাদের অব্যাহত নিষ্ঠা এবং সেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাবু অনুপম সাহা নতুন কার্যকরী কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উপস্থাপন করেন এবং বাবু অজিত নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে। নবনিযুক্ত কার্যকরী কমিটির অংশ হিসেবে নতুন দুজন সদস্য, মি. দেবাশীষ বণিক এবং ব্যারিস্টার শুভাগত দে-কে কমিটিতে স্বাগত জানানো হয়।