উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।নিউইয়র্কে ক্যান্সারের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।উপন্যাসে হিমু,মিসির আলির মতো অসংখ্য জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করে এখনও তিনি পাঠকের মনে বেঁচে আছেন।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কোরআন খতম আর এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে তাঁর পরিবার।বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে প্রয়াত এ সাহিত্যিককে স্মরণ করবে।এ ছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশনে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ।তাঁর ডাকনাম কাজল।বাবা পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও গৃহিণী মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তাঁর ছোট ভাই।সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক,গল্পকার,গীতিকার,নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বাংলা সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর জনকও।
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে।উপন্যাসটি প্রকাশের পরই সাড়া জাগায়।তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন।এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১),হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০),লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪),বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।