পৃথিবীজুড়ে বহু মানুষই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন। দুই একদিনের অনিয়মে নয়, বছরের পর বছর অনিয়মের কারণেই মুলত হার্টের ক্ষতি হয়। এরপর হঠাৎই গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়। বিশ্বে বছরে প্রায় ৩৮ লাখ পুরুষ ও ৩৪ লাখ নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এর মধ্যে প্রতি চারজনে একজন মারা যান করোনারি হার্ট ডিজিজ বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজে।তাই সময় থাকতে এখন থেকেই একটু নিয়ম মেনে চলুন। তবেই দীর্ঘমেয়াদে হার্ট ভাল থাকবে। অনেক বড় আঘাত এবং খরচ থেকেও মুক্তি পাবেন। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনে আনতে হবে সামান্য কিছু পরিবর্তন। মেনে চলতে হবে কিছু পরামর্শ।
নিচে রইল দীর্ঘমেয়াদে হার্ট ভালো রাখার জন্য ৭ টি পরামর্শ :
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন। দৌড়, ওয়েট ট্রেনিং, সাঁতারের মতো হাই ইনটেনসিটি করতে পারলে খুবই ভালো। সেটা সম্ভব না হলে অন্তত ৩০ মিনিট খুব জোরে হাঁটুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে যেন হার্টবিট বাড়িয়ে তোলা যায়।
২. পরিমিত ও সুষম খাওয়া-দাওয়া করুন। অনেক দামি দামি খাবার খেতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। প্রতিদিনের আহারে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের ভারসাম্য রাখুন। চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফ্রাই করা খাবার মাসে ২-৩ দিনের বেশি খাবেন না। প্রতিদিন অন্তত ২-১ টি করে মৌসুমি ফল খান।
৩. মন খুশি রাখুন। মজার সিনেমা দেখুন, বই পড়ুন। কাজের স্ট্রেস বাড়িতে আনবেন না। চেষ্টা করুন ধ্যান করার। একদিনেই উপকার হয়তো পাবেন না। কিন্তু ১ মাস করে দেখুন। নিজেই টের পাবেন।
৪. একটানা শুয়ে-বসে থাকবেন না। চেয়ারে বসে কাজ করলে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর উঠে পড়ুন। ঘরের মধ্যেই হালকা পায়চারি করুন। পানি পান করুন। তারপর আবার কাজে বসুন। অফিসে লিফটের বদলে মাঝে মধ্যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত স্বাস্থ্যে বাহ্যিক রূপ নিয়েই সমাজে বেশি আলোচনা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অনেক বেশি ক্ষতি ডেকে আনে। ওজন বেশি হলে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৬. ঘুম নিয়ে হেলাফেলা করবেন না। প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. মদ্যপান, ধূমপান ছেড়ে দিন।
এই পরামর্শগুলো মেনে চলার পাশাপাশি হার্ট সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা গুরুতর মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াটা অবশ্যই জরুরি।