২০১৯ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নেমেছিল ইংলিশরা। তবে বিশ্বকাপে খুব বাজে সময় পার করে জস বাটলারের দল। বিশ্বকাপ শেষ প্রথম সিরিজ খেলতে নেমেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরেছে ইংলিশরা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাবে ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড গড়া জয়ের দিন বেশ কিছু রেকর্ডও গড়েছেন হোপ। উইন্ডিজের ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে করেছেন ৫হাজার রান। যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫হাজার রান করার রেকর্ড গড়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
৩২৬ রানের টার্গেটে খেলতে নামেন উইন্ডিজের দুই ওপেনার অ্যালিক আথানাজ ও ব্র্যান্ডন কিং। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতেই তোলেন ১০৪ রান। ফিফটি হাঁকানো আথানাজ আউট হন ৬৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। ৪৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্র্যান্ডন কিং।
এরপর কেসি কার্টি ফিরে যান মাত্র ১৬ রান করে। চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার হোপ ও শিমরন হেটমায়ার। দুজনে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। হেটমায়ার ৩২ করে আউট হন। শেরফান রাদারফোর্ড ৬ রান করে ফিরলেও উইন্ডিজের জয়ের পথটা সহজ হয় রোমারিও শেফার্ডের ২৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে। বাকি কাজটা সারেন হোপ। শেষ দিকে স্যাম কারানের উপর ঝড় বইয়ে দিয়ে আদায় করে নেন সেঞ্চুরি। মাত্র ৮৩ বলে ৪ চার ও ৭ ছয়ে ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন হোপ। ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন আলজারি জোসেফও।
ওয়ানডে ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জিতেছে ক্যারিবীয়রা। ঘরের মাঠে এটা ওয়ানডেতে উইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন গুস অ্যাটকিনসন ও রিহান আহমেদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রেডন কার্স ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ফিল সল্ট ৪৫, জ্যাক ক্রলি ৪৮, হ্যারি ব্রুক ৭১ রান করেন। শেষ দিকে স্যাম কারেন ৩৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩১ রানে ভর করে তিনশো পেরোয় ইংল্যান্ড। ৫০ ওভারে ৩২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে রোমারিও শেফার্ড, গুডাকেশ মোতি ও ওশেন থমাস ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ইয়ানিক কারিয়াহ এবং আলজারি জোসেফ শিকার করেন ১টি করে উইকেট।