টানা ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের খোলনচে বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন অধিনায়ক হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আগের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, একটি হয়েছে পরিত্যক্ত। এমন বাজে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে জিম্বাবুয়েতে আগামীকাল শনিবার থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামবে টিম টাইগার।
সব ফরম্যাটেই দুর্বল জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে এই সিরিজ হবে তরুণদের প্রমাণের মঞ্চ।
এই প্রথম এই ফরম্যাটে দেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটার- মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদুল্লাহকে ছাড়া সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ দল। ২০০৬ সালে ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাটে অভিষেকের পর টাইগাররা এ পর্যন্ত ১২৮টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচ খেলে হেরেছে ৫টিতে। অপরদিকে নিজেদের পছন্দের ওয়ানডে ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচে জয় আছে বাংলাদেশের।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ পর্যন্ত ৪৪টি ম্যাচে জয় এবং ৮১টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। বাকি তিনটি পরিত্যক্ত হয়। এটাই একমাত্র ফরম্যাট, যেখানে জিম্বাবুয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসতে পারে। কারণ খেলা হবে তাদের ঘরের মাঠে। তাছাড়া সম্প্রতি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এ বছরের আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ায় স্বাগতিকদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। অন্যদিকে একের পর এক ম্যাচ হেরে ব্যকফুটে থাকা বাংলাদেশকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ তারুণ্য নির্ভর দলের সামনে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে হারাতে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে। এটা চ্যালেঞ্জিং। অবশ্যই আমরা যতটা সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। সবগুলো ম্যাচ জিতলে ভালো হবে। তাই আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে এগোবো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সিরিজের শুরুটা ভালো করা। ‘ উল্লেখ্য, হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হবে। ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।
বাংলাদেশ দল : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মাহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন।