২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সোয়া চার বছর পর আজ ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপও শুরু হচ্ছে সেই দুই দলের লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই। ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে সেই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ফলে আজকের উদ্বোধনী ম্যাচটি একদিক থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনর্মিলনী। আরেক দিক থেকে পুনর্মিলনী নয়।
২০১৯-এর ১৪ জুলাই, লডর্সের সেই ফাইনালে দুই দলের হয়ে খেলা অনেক ক্রিকেটার যে এবার বিশ্বকাপ দলেই নেই। মহানাটকীয় সেই ফাইনালে নাটকীয়ভাবে জিতে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা ইংল্যান্ড দলে যেমন নেই চার জন—জেসন রয়, এউইন মরগান, লিয়াম প্লানকেট, জোফরা আর্চার। এর মধ্যে জেসন রয়কে প্রথমে মূল স্কোয়াডে রাখলেও পরে তাকে রিজার্ভ খেলোয়াড় ঘোষণা করে। তার পরিবর্তে ইংলিশরা মূল স্কোয়াডে নিয়েছে হ্যারি ব্রুককে। ক্ষোভে অপমানে জেসন রয় বিশ্বকাপে খেলবেন না বলেই ঘোষণা দেন। জোফরা আর্চার বাদ পড়েছেন চোটের কারণে। বাকি দুজনের মধ্যে পেসার লিয়াম প্লানকেট ঐ ফাইনালের পরই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। মরগান আরও তিন বছর খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন ২০২২ সালে।
একইভাবে নিউজিল্যান্ড দলেও নেই চার জন—মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, রস টেলর, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এদের মধ্যে গাপটিল, রস টেলর, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম অবসর নিয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী হেনরি নিকোলস এবারও দলে ডাক পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কপাল পুড়েছে তার।
মানে লর্ডসের সেই ফাইনালে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে দুই দলেরই সাত জন করে ক্রিকেটার এবারের দলে আছেন। তাদের মধ্যে কতজন আজকের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলার সুযোগ পান, সেটা জানা যাবে লড়াই শুরুর পর। যারা আজ একাদশে সুযোগ পাবেন, তাদের জন্য ম্যাচটা পুনর্মিলনীই হবে। কেন উইলিয়ামসনের জন্য পুনর্মিলনীটা আবার হবে দুইভাবে। সেই ফাইনালের মতো আজো নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্বে থাকবেন তিনিই। তবে ইংল্যান্ড দলে এসেছে নেতৃত্বের পরিবর্তন।
লর্ডসের সেই ফাইনালে নেতৃত্ব দেওয়া মরগান দলেই নেই। তার জায়গায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্বের বোঝা এবার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলারের কাঁধে। সেই ফাইনালে যারা খেলেননি, তাদের জন্য আজকের ম্যাচটি হবে কেবলই বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ। তবে দলগত দিক থেকে আহমেদাবাদের আজকের উদ্বোধনী ম্যাচটা পুনর্মিলনীর মর্যাদাই পাবে।