জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্য গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে গত বছর। যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগরের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে খাদ্যের দাম বাড়তে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে যা আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
এফএও বলছে, গম ও ভুট্টার দাম গত বছর রেকর্ড উচ্চে পৌঁছেছে, যদিও ডিসেম্বরে অন্যান্য শস্যের দামের সঙ্গে তাদের দাম কমেছে। প্রতি মাসেই খাদ্য মূল্য সূচক প্রকাশ করে থাকে এফএও। তাতে দেখা গেছে, ২০২২ সালে এফএওর খাদ্য মূল্য সূচকের গড় মান ছিল ১৪৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট। ১৯৯০ সালে এফএও মূল্য সূচক প্রবর্তন করার পর যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সূচক অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মূল্যসূচকের মান ১৮ পয়েন্ট বেড়েছে। এর ফলে ২০২২ সালে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছিল। সব দেশে খাদ্যের দাম একই হারে বাড়েনি। আবার খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সব দেশে সমানভাবে পরেনি।
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর খাদ্য সংকট বাড়িয়ে দেয়। কারণ দুটি দেশ গম, বার্লি, সূর্যমুখী তেল এবং অন্যান্য পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের নেতৃত্ব দেয়। যুদ্ধের কারণে গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে খাদ্য পরিবহন ব্যাহত হয়। ফলে এফএওর মূল্য সূচক রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে খাদ্য মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ১৫৯ দশমিক ৭-এ ওঠে। এরপর এপ্রিল, মে ও জুন মাস পর্যন্ত তা যথাক্রমে ১৫৮ দশমিক ৪, ১৫৮ দশমিক ১ ও ১৫৪ দশমিক ৭ ছিল। আগস্ট মাসে তা এক ধাক্কায় ১৪০-এর ঘরে নেমে আসে। এরপর ধারাবাহিকভাবে খাদ্যের দাম কমতে থাকে। সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে তা ১৩২ দশমিক ৪-এ নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বছরের গড় মান দাঁড়ায় ১৪৩ দশমিক ৭।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক পরিসরে রুটির ভান্ডার হিসেবে তাদের খ্যাতি আছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে যবের ১৯ শতাংশ, গমের ১৪ শতাংশ ও ভুট্টার ৪ শতাংশ তারা রপ্তানি করে। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্যের জোগান দেয় এই দুই দেশ। এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো গত বছর বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দিয়েছে। করোনার সময় অনেক দেশ নাগরিকদের প্রণোদনা দিয়েছে। যেসব দেশে এসব ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, সেসব দেশের মানুষের পক্ষে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ধাক্কা মোকাবিলা তুলনামূলকভাবে সহজ হচ্ছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্য গত বছর রেকর্ড পরিমাণ ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে গত বছর। যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগরের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে খাদ্যের দাম বাড়তে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে যা আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
এফএও বলছে, গম ও ভুট্টার দাম গত বছর রেকর্ড উচ্চে পৌঁছেছে, যদিও ডিসেম্বরে অন্যান্য শস্যের দামের সঙ্গে তাদের দাম কমেছে। প্রতি মাসেই খাদ্য মূল্য সূচক প্রকাশ করে থাকে এফএও। তাতে দেখা গেছে, ২০২২ সালে এফএওর খাদ্য মূল্য সূচকের গড় মান ছিল ১৪৩ দশমিক ৭ পয়েন্ট। ১৯৯০ সালে এফএও মূল্য সূচক প্রবর্তন করার পর যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সূচক অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মূল্যসূচকের মান ১৮ পয়েন্ট বেড়েছে। এর ফলে ২০২২ সালে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছিল। সব দেশে খাদ্যের দাম একই হারে বাড়েনি। আবার খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সব দেশে সমানভাবে পরেনি।
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর খাদ্য সংকট বাড়িয়ে দেয়। কারণ দুটি দেশ গম, বার্লি, সূর্যমুখী তেল এবং অন্যান্য পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের নেতৃত্ব দেয়। যুদ্ধের কারণে গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে খাদ্য পরিবহন ব্যাহত হয়। ফলে এফএওর মূল্য সূচক রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে খাদ্য মূল্য সূচক সর্বোচ্চ ১৫৯ দশমিক ৭-এ ওঠে। এরপর এপ্রিল, মে ও জুন মাস পর্যন্ত তা যথাক্রমে ১৫৮ দশমিক ৪, ১৫৮ দশমিক ১ ও ১৫৪ দশমিক ৭ ছিল। আগস্ট মাসে তা এক ধাক্কায় ১৪০-এর ঘরে নেমে আসে। এরপর ধারাবাহিকভাবে খাদ্যের দাম কমতে থাকে। সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে তা ১৩২ দশমিক ৪-এ নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বছরের গড় মান দাঁড়ায় ১৪৩ দশমিক ৭।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গম রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক পরিসরে রুটির ভান্ডার হিসেবে তাদের খ্যাতি আছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে যবের ১৯ শতাংশ, গমের ১৪ শতাংশ ও ভুট্টার ৪ শতাংশ তারা রপ্তানি করে। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্যের জোগান দেয় এই দুই দেশ। এই দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো গত বছর বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দিয়েছে। করোনার সময় অনেক দেশ নাগরিকদের প্রণোদনা দিয়েছে। যেসব দেশে এসব ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, সেসব দেশের মানুষের পক্ষে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ধাক্কা মোকাবিলা তুলনামূলকভাবে সহজ হচ্ছে।