আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল তিন দেশে হবে। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোয় হবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ। আর তাতে বেড়েছে তার কলেবর। বাড়ছে অংশগ্রহণকারী দেশ। বেড়েছে খেলা।
রুয়ান্ডায় ফিফার কংগ্রেস আজ। এরই মধ্যে ফিফার সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ফিফা। পেছনের বিতর্ক মুছে দিয়ে কীভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন সুন্দর করা যায় তা নিয়েই একটা পথ বের করেছে ফিফা। একটা গ্রুপে চারটা দেশকে রাখা হয়েছে। কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই নিয়ম ছিল। মাঝে কথা উঠেছিল যদি আসছে বিশ্বকাপে ১৬ গ্রুপে ৪৮ দেশ খেলে তাহলে তিন দেশকে একটা গ্রুপে রাখতে হবে। তাতে একটা দেশ দুই ম্যাচ খেলবে। এতে বিশ্বকাপের সৌন্দর্য থাকবে না। পাতানো খেলা হওয়ারও সুযোগ থাকবে। ১৯৮২ বিশ্বকাপ ফুটবলে অস্ট্রিয়া-পশ্চিম জার্মানির ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। ২০২৬ বিশ্বকাপের ফরম্যাট নিয়ে বিতর্ক যেন না ওঠে সেদিকে নজর রাখছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনিও।
ফিফা নিয়ম করেছে ৪৮ দেশকে ১১টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। একটা গ্রুপে চারাট দেশ থাকবে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠবে। এখানে নতুন নিয়ম হচ্ছে ১২ গ্রুপের সেরা তৃতীয় দেশও দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। তার মানে ১ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ মিলে ২৪ দল। সঙ্গে যোগ হবে সেরা তৃতীয় হওয়া আট দেশ। সেটির নাম হবে রাউন্ড ৩২। এখন যেটা রাউন্ড সিক্সিটিন বলা হয়। সবমিলিয়ে ৩২ দেশের খেলা দ্বিতীয় পর্বে হবে। এখন যেমন ৩২ দেশ নিয়ে হয় চূড়ান্ত পর্ব।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে ইউরোপ থেকে উঠে আসবে ১৬ দেশ। অফ্রিকা মহাদেশ থেকে আসবে ৯টি দেশ। নর্থ এবং সেন্ট্রাল আমেরিকা থেকে নেওয়া হবে ৬টি দেশ। সাউথ আমেরিকা থেকে নেওয়া হবে ৬টি দেশ। ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে ১টি দেশ। প্লে-অফ থেকে আসবে ২টা দল। এশিয়া থেকে আসবে ৮টা দল।
সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে এশিয়া অঞ্চল হতে স্বাগতিক কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান, সৌদি আরব এবং অস্ট্রেলিয়া। এশিয়ার কোটায় দুই দেশ বেড়েছে। এশিয়ার জন্য এটাই বড় খবর। ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলে দলের সঙ্গে ম্যাচের সংখ্যাও বেড়েছে। সব মিলিয়ে ১০৪টি ম্যাচ দেখার সুযোগ থাকবে। ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ফাইনাল।