করোনা,জলবায়ু পরিবর্তন,দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাবসহ ভবিষ্যতের সংকটগুলো মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
রবিবার (৭ আগস্ট) বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।সংস্থাটির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এবং বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডির সচিব শরিফা খান ঋণ চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্বব্যাংক জানায়,বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আজ ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৯৪.৭০ টাকা ধরে)।
স্থানীয় সরকারের কোভিড-১৯ রেসপন্স এবং রিকভারি প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় হবে।এই প্রকল্পটির মাধ্যমে শহরাঞ্চলসহ আটটি বিভাগের মোট ৩৯.৯ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন।এটি মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন,দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাবসহ ভবিষ্যতের সংকটগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংকের স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) মুদ্রায় এ ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।তবে উত্তোলিত ঋণের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে।অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাংক কমিটমেন্ট ফি দেওয়ার বিষয়টি মওকুফ করে আসছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন,বাংলাদেশ দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। জনসংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ শহরাঞ্চলে বসবাস করে।প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু-স্মার্ট নগরায়নের দিকে অগ্রসর হতে এবং ভবিষ্যতের ধাক্কায় স্থিতিস্থাপকতার জন্য প্রস্তুত করতে সঠিক ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেন,দ্রুত এবং সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে,বাংলাদেশ সরকার কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।আমাদের এ কার্যক্রম প্রকল্পটির মাধ্যমে আরও সহায়তা করবে।