ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নলিনী শ্রীহরণ ৩১ বছর কারাবাসের পর জেল থেকে বেরিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বোমা হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য তিনি দুঃখিত।
নলিনীসহ ছয়জনকে শুক্রবার মুক্তি দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নলিনীর সঙ্গে মুক্তি পান জয়কুমার, সন্তন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস ও রবিচন্দ্রন।
নলিনী বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। এটা নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে ভেবেছি। আমরা সত্যিই অনুতপ্ত। তারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আশা করি, এই যন্ত্রণা থেকে একসময় তারা মুক্তি পাবেন।’
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর যুক্তরাজ্যে মেয়ের কাছে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। নলিনীর সঙ্গে যাবেন তার স্বামী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আরেক আসামি মুরুগানও।
রাজীব গান্ধীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চান কি না জনতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা আমার সঙ্গে দেখা করবেন বলে আমি মনে করি না। আমার সঙ্গে দেখা করার সে সময় পার হয়ে গেছে।’
১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরুমবুদুরে এক নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন রাজীব গান্ধী। এ সময় শ্রীলঙ্কার লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্যের আত্মঘাতী বোমা হামলায় রাজীব গান্ধী নিহত হন। এছাড়া হামলাকারী ধানুসহ ১৬ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।রাজীব গান্ধী হত্যায় নলিনীসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০০ সালে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। ২০১৪ সালে বাকি ছয়জনের সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমে যাবজ্জীবন হয়। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত গত মে মাসে আসামি পেরারিভালানকে মুক্তি দেন।