সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বেচ্ছা মৃত্যুকে বৈধতা দিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সে ‘অ্যাসিস্টেড ডায়িং’ বিল পাশ হয়েছে। দিনভর পার্লামেন্টে আইন প্রণেতাদের মাঝে চলছিল বিতর্ক, ঠিক তেমনি হাউজ অব কমন্সের বাইরে দেখা গেছে অন্যরকম চিত্র। বিলের বিপক্ষে মানবতা বাদিদের যেমন দেখা গেছে ব্যানার ফেষ্টুন হাতে প্রতিবাদ জানাতে। ঠিক তেমনি কেউ কেউ এসছিলেন বিলের পক্ষে সমর্থন জানাতে। অবশেষে মাত্র ৫৫ ভোটের ব্যবধানে ৩৩০ ভোটে বিলটি পাশ হয়। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৭৫জন এমপি। মোট ৬৫০জন আইন প্রণেতার মাঝে ভোট দানে বিরত থাকেন ৪৫জন। চারজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী এমপির মধ্যে তিনজন ভোট দিয়েছেন বিপক্ষে একজন পক্ষে।
ব্রিটেনে দীর্ঘসময় অসুস্থতায় ভুগছেন এমন কেউ স্বেচ্ছায় নিজ মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারবেন। স্বেচ্ছায় মৃত্যু নিশ্চিত করাকে আইনগত বৈধতা দিতে ‘‘এসিস্টেড ডায়িং” নামক একটি বিল বৃটিশ পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়।
এই বিলটি আইনে পরিণত হওয়াতে দীর্ঘ দিন অসুস্থতায় ভোগছেন এমন যে কেউ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারবেন।
ব্রিটেনের মুসলিম কমিউনিটি সহ খৃষ্টান ইহুদী এবং অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা এই বিলটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
২৯ নভেম্বর বিলটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সেকেন্ড রিডিংয়ের জন্য উত্থাপন করার পর আইনে পরিনত হলো। এই আইন যুক্তরাজ্যে সংখ্যালঘু, নিম্ন আয়ের মানুষ, প্রতিবন্ধী এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করবে। একজন প্রতিবন্ধী কিংবা মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তিকে তার পরিবার বোঝা মনে করতে পারে। সুতরাং, পরিবারই হয়তো তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেবে। এই আইন বর্তমানে কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে চালু আছে।