জুয়েল সাদত।
ফোবানা উত্তর আমেরিকার প্রবাসীদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে। ৩৬ টি ফোবানার সফল সমাপ্তির পর ৩৭ তম ডালাস ফোবানা সকলের মনযোগ আকর্ষণ করেছে। গত শনিবার ২৮ জানুয়ারী সন্ধ্যে ৭ টায় ডালাসের আরলিংটনের ইন্দোপ্যাক ব্যাংকুয়েট হলে ৩৭ তম ফোবানার কীক অব গালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন লিমন ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শায়েনা মোবিন।
তিন পর্বের ফোবানার কীক অব গালার শুভ সুচনা করেন কনভেনর হাসমত মোবিন। ৩৭ তম ডালাস ফোবানার হোস্ট বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট)।
কনভেনর হাসমত মোবিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ফোবানা চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী হিরো, ফোবানার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব, জয়েন্ট সেক্রেটারি আবীর আলমগীর, ফোবানার কোষাধ্যক্ষ ডা: মানিক, ফোবানার এক্জিকিউটিভ সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেল, ৩৭ তম ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারী সামসুদ্দোহা সাগর। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফোবানার উপদেষ্টা নুরুল আমিন, রবিউল করিম বেলাল, মোহাম্মদ আলমগীর। ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান এর মধ্যে ডিউক খান, রেহান রেজা, শাহ হালিম প্রমুখ।
ফোবানার এক্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান এহসান চৌ: ফোবানার একজিকিউটিভ মেম্বারদের ও ৩৭ তম হোস্ট কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি তার বক্তব্য বলেন, ফেবানা একটি সমন্বিত পরিবার। উত্তর আমেরিকায় ফোবানা প্রবাসীদের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবে। আমরা নানা চ্যরিট্যাবল কাজে ফোবানাকে সম্পৃক্ত করেছি ।
কনভেনর হাসমত মেবিন বলেন, টেক্সাসের জন্য ৩৭ তম ফোবানা শহরের ৪র্থ ফোবানা, আমরা সকলকে নিয়েই এটা সফল করব। আপনারা ডালাসে নতুনত্ব দেখতে পারবেন। আমরা নতুন প্রজন্মদের সম্পৃক্ত করব।
ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব বলেন, ফোবানার ঐক্য চির অটুট, এটা সকলের প্লাটফর্ম। সাবেক চেয়ায়ম্যান রেহান রেজা বলেন, ফোবানার স্কলারশীপ দেশে বিদেশে বিস্তৃত। ফোবানার এক্জিকিউটিভ সেক্রেটারী নাহিদুল খান বলেন, ফোবানা নিয়ে বিভ্রান্ত হবার কারন নাই, এটা ৩৬ বছরের সফলতার ফসল। আটলান্টা সব সময় ফেবানাকে সবোর্চ্চ সাপোর্ট করে, তা করে যাবে। ফোবানার জয়েন্ট সেক্রেটারি মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব আবীর আলমগীর বলেন, ৩৭ তম ফোবানায় আপনারা নিউইযর্কের অকুণ্ঠ সাপোর্ট পাবেন।
৩৭ তম ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারী সামসুদ্দোহা সাগর বলেন, আমরা ডালাস, অস্টিন, হিউষ্টন, প্লানো সব শহরগুলোকে নিয়ে ডালাস ফোবানা করব। ভেন্যু টা সকলের পছন্দ হওয়াতে আমরা আনন্দবোধ করছি। আপনারা সকলকে নিয়ে আসবেন।
দ্বিতীয় পর্বের ফান্ড রাইজিং এর জন্য সকলকে মঞ্চে আহবান জানান ফোবানার এক্স চেয়ারম্যান শাহ হালিম। শাহ হালিমের পরিচালনায় ফান্ড রাইজিং এ সকলের স্বতঃস্ফূর্ততায় ব্যাপক প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। তাকে সহযোগীতা করেন জেসমীন ওয়াদুদ রুপালী, রাহী ইয়াহিয়া ও ফয়েজ আরিফ। ৩৭ তম ডালাস ফোবানা নিয়ে সকল স্পন্সর ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে একটি স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যায় ।
তৃতীয় পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্টান সঞ্চালনা করেন আর জে রাহি ইয়াহিয়া ও ফারহানাজ রেজা। গান পরিেবশন করে ওয়াফিল আউয়াল, ফারহানা হোসেন লিপি, মাফিয়া রহমান মিথি, অনন্যা ও লিমন। নাচ পরিবেশন করে শায়েনা মোবিন ও সামেরা ওয়াদুদ (রোশনি)। সাউন্ড ও প্রজেকশন এ ছিলেম রেজা রহমান।
ইন্দোপার্ক ব্যাংকুয়েট হলের বিশাল হল রুমে নানা রকম এপিটাইজার, ও সুস্বাদু খাবারের ব্যাবস্থা করেন ৩৭ তম ডালাস ফেবানার হোস্ট কমিটি বান্ট। কীক অব গালার পুর্বে নানা শহরের ফোবানার নেতৃবৃন্দ এর জন্য ছিল ৩৭ তম ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারী সামসুদ্দোহা সাগরের বাসায় দুপুরের খাবার ও ভেন্যু পরিদর্শন। আরভিং কনভেশন সেন্টার এর বিশাল হল রুম ও নানা সুযোগ সুবিধে ৩৭ তম ফোবানার বাড়তি আকর্ষণ।
কীক অব গালার সমাপনির পর রাতে হেটেলে বিভিন্ন শহর থেকে আগত ফেবানার অতিথিরা একটি মুল্যায়ন সভা করেন, সেখানে সকলে হোস্ট কমিটির ও বান্ট এর প্রশংসা করেন। বিভিন্ন শহরের অতিথিদের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন রানা ওয়াদুদ, সিয়াম ও হাসমত মোবিন।