চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে প্রথম হজ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। করোনাকালে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার মানুষ হজে যেতে পারছেন। হজযাত্রীদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
গতকাল বুধবার বেলা ১টা ৪১ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইটে হজযাত্রীরা চট্টগ্রাম ছেড়ে যান। চট্টগ্রামের প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাব এর চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাফর। বিমানের চট্টগ্রাম জেলা ব্যবস্থাপক সজল বড়ুয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, এ বছর চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি এবং চট্টগ্রাম মদিনা রুটে দুইটি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। আজ (বৃহস্পতিবার) অপর একটি হজ ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে মদিনা যাবে।
বিমান বন্দরের স্টেশন ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন বলেন, দুপুর পৌনে ২টার দিকে হজযাত্রীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে। সিডিউল অনুযায়ি সৌদি সময় বিকেল ৫টার দিকে ফ্লাইটটি মদিনায় অবতরণ করেছে।
এবার চট্টগ্রাম থেকে ৫ হাজার ২শ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাবেন। ১১টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। ডেডিকেটেড ফ্লাইটগুলোর মধ্যে হজযাত্রী নিয়ে দুটি ফ্লাইট মদিনায় যাবে। বাকি ৯টি ফ্লাইট জেদ্দা বিমানবন্দরে যাবে।
সূত্র জানায়, এবার বাংলাদেশের ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যাবেন। এর ৫০ শতাংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৯৩ জন বিমান আনা-নেওয়া করবে। গত ১৪ জুন পর্যন্ত ১৬ ফ্লাইটে ৬ হাজার ৫৪৯ জনকে সৌদি নিয়ে গেছে বিমান। এবার হজে ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। হজের রিটার্ন টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর সাথে শুধু যাওয়ার জন্য ১৫০ ডলার এবং আসা যাওয়ার জন্য ২৫০ ডলার বাড়তি পরিশোধ করা হলে একজন হজযাত্রী সামনের কেবিনে (বিজনেস ক্লাসের আসন) ভ্রমণ করতে পারবেন। এই সুবিধা শুধুমাত্র হজযাত্রীদের জন্য প্রদান করা হচ্ছে বলেও বিমান সূত্র জানায়।
২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৭৯৬ জন ও ২০১৯ সালে ৬৬ হাজার ২৮৬ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দুই বছর পর এবার তা কমে ২৮ হাজার ৭৯৩ জনে নেমেছে। বয়স নির্ধারণ করে দেয়ায় এবার হজযাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কমে গেছে।