মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। বিস্ময়কর যন্ত্র এই দুই কিডনি। আমাদের শরীরের বর্জ্য আর জঞ্জাল দূর করে শরীরকে শুচিস্নিগ্ধ করে তুলতে এর জুড়ি নেই। কিন্তু কিডনি যখন রোগাক্রান্ত হয় তখন নীরবেই শরীরের ক্ষতি করে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে আগেভাগেই সচেতন হওয়া চাই। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।
সক্রিয় থাকুন
লবণ কম খেলে ক্রনিক কিডনি রোগের ঝুঁকি কমে। পাতে আলাদা করে লবণ নেওয়া যাবে না। নোনতা খাবার যেমন আচার, নোনতা স্ন্যাক্স, বিস্কুট, প্রসেস খাবার, ফাস্ট ফুড খুব কম খেতে হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০। দুটি ভিন্ন দিনে মেপে রক্তচাপ ওপরেরটা ১৪০ বা বেশি আর নিচেরটা ৯০ বা এর বেশি হলে উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়। এ রকম হলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান
সাধারণত আট কাপ বা দুই লিটার দিনে। তবে আবহাওয়া, অন্যান্য বিষয়ের ওপর নির্ভর করে কম-বেশি হবে।
ধূমপান বর্জন
পেটব্যথা, সর্দি-কাশি হলে খেয়াল খুশি ওষুধ খেতে আমাদের খুব অভ্যাস। অনেক বেদনা হয় যেমন ইবু প্রুফেন, নেপ্রক্সেন এদের অনিয়ন্ত্রিত ওষুধে কিডনি নষ্ট হতে পারে আর অপ্রচলিত কিছু চিকিৎসার ওষুধেও কিডনির ক্ষতি হয়।
কিডনি পরীক্ষা
উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।