দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল মঞ্চে (সাফ) পাকিস্তান দুর্বল—এমনটি মনে করার সুযোগ নেই। আগের সেই পাকিস্তান আর নেই এখন। ২১ জুন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে শুরু হতে যাওয়া সাফের ১৪তম আসরে পাকিস্তান আসছে বীরদর্পে। মুখে না বললেও তাদের প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে মাঠের লড়াইয়ে সবাইকে দেখে নেবে। বলে দিচ্ছে, ভুলে যান সেই পাকিস্তানকে। আমরা আসছি ফুটবলের নতুন শক্তি নিয়ে। ৯ ফুটবলারের মধ্যে ইংল্যান্ডের চার জন এবং ডেনমার্কের পাঁচ জন ফুটবলার রয়েছেন। তাদের শক্তির ওপর ভর করে পাকিস্তান আসছে সাফে।
গত বুধবার রাতে ভারত থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে পাকিস্তান। তারা সাফে খেলবে। ভারতের সবুজ সংকেত পেয়ে পাকিস্তানও খুশি। সাফে পাকিস্তানের গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, কুয়েত এবং নেপাল। আগামী ২২ জুন পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। শোনা যাচ্ছে এরই মধ্যে সেই ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, তিনিও শুনেছেন। তবে সঠিক কি না, বলতে পারলেন না।
সাফে আসার আগে মরিশাসে টুর্নামেন্ট খেলবে পাকিস্তান। খুব সিরিয়াস হয়ে সাফে খেলতে আসবে তারা। পাকিস্তানের এখন অবধি সাফের ট্রফি ধরার ভাগ্য হয়নি। তবে এবার তারা উঠেপড়ে লেগেছে, যেভাবেই হোক ট্রফি পেতে হবে। পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিষেধাজ্ঞায় ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে এখন সাফ অঞ্চলে আবার নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে চায়। সে কারণেই ইউরোপে থাকা প্রবাসীদের দলে যুক্ত করেছে। দেশকে ট্রফিও এনে দিতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে।
ইউরোপে থাকা ৯ ফুটবলার দলে নিয়েছে পাকিস্তান। প্রবাসী এই ফুটবলারদের নিয়ে পাকিস্তান যে একটা শক্তিশালী দলে পরিণত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, আনা হয়েছে এসা সুলিমান, অটিস খান, রাহিস নবি, আব্দুল আরশাদ, হারুন হামিদ, আব্দুল্লাহ ইকবাল, আদনান মোহাম্মদ, হাসান বশির, ইউসুফ বাটকে। এসা সুলিমানের বয়স ২৫, বার্মিংহামে তার জন্ম। অ্যাস্টন ভিলার একাডেমির আবিষ্কার এসা। এই ফুটবলার ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৬, ১৭ এবং ১৯ দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন। এছাড়া তিনি এশিয়ার একমাত্র ফুটবলার যিনি ইংলিশ দলের অধিনায়ক হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রক্ষণভাগের এই ফুটবলার এসা ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করেছিলেন। এসা সুলিমান এবারই প্রথম সাফে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন। আক্রমণভাগের ফুটবলার অটিস খান ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল একাডেমির তৈরি। খেলেছেন শেফিল্ড একাডেমিতে। অটিস খানের বয়স ২৭।