ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী আলজেরিয়-বংশোদ্ভূত তরুণ নিহত হবার পর উত্তাল দেশটি। টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। এতে এখন পর্যন্ত ৪২১ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৭০ জন পুলিশ।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো আরেকটি জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এর আগে গতকাল বিক্ষোভ সামলাতে ফ্রান্সজুড়ে নতুন করে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বাহিনী মার্সেই, লিয়ন, পাউ, টুলুস, লিলে শহরে আগুন এবং বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি নিক্ষেপসহ নতুন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু প্যারিস নয় গত মঙ্গলবারের পর বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিছু রাস্তা। আক্রান্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। এছাড়া লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। বিক্ষোভ হটাতে দেশটির দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
এর আগে ঘটনার বিবরণে বলা হয়,প্যারিসের পশ্চিমদিকে নান্তেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী অফিসারটিকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত কিশোরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া এর আগে ম্যাক্রো এ ঘটনাকে ক্ষমার অযোগ্য বলে উল্লেখ করে।