প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট বিভাগে ঈদের আনন্দে ভাটা পড়েছে। ঈদের দিন থেকেই বৃষ্টি। কম বেশি সবাই গৃহবন্দী। সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । কোনো নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) বেলা ৯টার দিকে কানাইঘাটে সুরমার পানি ১১.১৩ সেন্টিমিটার, সিলেটে সুরমা নদীতে ৯. ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমা বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আসাম মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এতে সুনামগঞ্জ জেলায় মাঝারি আকারে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বন্যার শঙ্কায় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত তিন দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন, ধলাই, জাদুকাটাসহ ছোট-বড় সব নদীর পানি বেড়েছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীরে তিন পয়েন্ট শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুরে পানি বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় সিলেটসহ সারাদেশে শুরু বৃষ্টি ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে অব্যাহত থাকবে। এ দিন সিলেটের বিভিন্নস্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে।