দুর্দান্ত, দৃষ্টিনন্দন, অসাধারণ―কোনো বিশেষণেই যেন এজবাস্টন টেস্টকে বিশেষায়িত করা যথেষ্ট নয়। ম্যাচের তৃতীয় ইনিংস পর্যন্ত প্রচণ্ড চাপে থাকা ইংল্যান্ড চতুর্থ ইনিংসে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালাতে থাকেন ইংলিশরা। দুই সেঞ্চুরিয়ান জো রুট আর জনি বেয়ারস্টোর সামনে স্রেফ উড়ে গেছে ভারত।
৭ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ৩৭৮ রান তাড়া করা ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
অথচ বিশাল টার্গেট তাড়ায় নেমে চতুর্থ দিনে ১০৭ থেকে ১০৯ রানের মাঝে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ড। সেই অবস্থান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাবেক অধিনায়ক জো রুট এবং প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের ইনিংস খেলা জনি বেয়ারস্টো। ৩ উইকেটে ২৫৯ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ইংলিশরা। আজ সেই জুটি তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকে। দুই ব্যাটারের মধ্যে কে আগে সেঞ্চুরি করবেন―তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যান জো রুট। ১৩৬ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৮ নম্বর টেস্ট সেঞ্চুরি। এই নিয়ে চলতি বছর রুটের টেস্ট সেঞ্চুরি হলো পাঁচটি। এর কিছু সময় পর ১৩৮ বলে ১২ চার আর এক ছক্কায় ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি হাঁকান জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড তখন জয় থেকে মাত্র ২১ রান দূরে। সেঞ্চুরির পর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠন বেয়ারস্টো। মোহাম্মদ সিরাজকে পরপর তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়টা আরো এগিয়ে আনেন।
বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকেই আসে উইনিং শট। ১৪৫ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় ১১৪* রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। অন্যদিকে জো রুট অপরাজিত থাকেন ১৭৩ বলে ১৯ চার ও এক ছক্কায় ১৪২* রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে এসেছে ৩০৪ বলে ২৪৮* রান। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। এটা তাদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়। এত দিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৯ সালে ৩৫৯ রান তাড়া করে জয় ছিল সর্বোচ্চ।