নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য কী, জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, তারা অনেকবার বলেছেন যে তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান। একইভাবে এটা আরও এক্সপ্লোর করার জন্য আগামীতে তাদের একটা টিম আসবে।
‘আপনারা কী বলেছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন যে এখানে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেশে একটা এক্সপার্ট টিম আসবে আগামী সপ্তাহে। এই টিমের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর, সিভিল সোসাইটির কথা হবে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে আজ আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের ব্যাপারেই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের চিন্তা, আমরা কী ভাবছি, কী করছি সে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যস্থতায় সরকারের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনই কোনো কথা বলতে পারব না। এ ধরনের কোনো আলোচনা আজ হয়নি। আলোচনাটা হয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব বা সম্ভব নয়, সেটাই তারা জানতে চেয়েছে।
‘নির্বাচনকালীন প্রেসক্রিপশনের আলোচনার বিষয়ে ইইউর কোনো পরামর্শ আছে কিনা’ এমন প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রেসক্রিপশনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। এখানে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠুভাবে, এখানে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয় নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে অবস্থা তৈরি করেছে যে এটা এখন প্রমাণিত গত দুই নির্বাচনে যে নির্দলীয় সরকার ছাড়া এখানে নির্বাচন সম্ভব না।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্টিয়ান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।