আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীকে মালি থেকে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠনটি। গত ৩০ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে এ বিষয়ে রেজ্যুলেশন পাস হয়। ওই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল ও মালি মিশন হতে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক মিটিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব তথ্য জানান। সচিব বলেন, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধের মূল কারণ হলো- মালি সরকারের অসম্মতি।
তিনি বলেন, ‘গত জুনে মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। স্বাগতিক দেশের সম্মতি ছাড়া শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। একই মন্তব্য করেন নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিও।’
২০১৩ সাল থেকে এ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই মালিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত আছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মালি মিশনে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষীরা মালি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে। গৃহীত রেজ্যুলেশন অনুযায়ী- মালি মিশনে দায়িত্বরত সব শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করা হবে। জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীন ভবিষ্যতে যে কোনো শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সবসময় রয়েছে।