কূটনীতির ‘হটস্পটে’ পরিণত হয়েছে ঢাকা। বিশেষ করে বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রম অধিকারসহ নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি বিবৃতির মধ্যে মুখ খুলেছে ইরানও। সঙ্গে যুক্ত আছে ইইউসহ আরো কয়েকটি দেশ। সবমিলিয়ে কূটনীতিক তৎপরতায় মুখর ঢাকার দিকেই সবার নজর। তবে এ তৎপরতাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখে দেশের স্বার্থ বজায় রাখার কূটনীতিতে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এটা চাপ সৃষ্টি করার জন্য নয়; বরং এসব সফর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনীতির অংশ।
এরকম পরিস্থিতিতে আজ রবিবার ভোরে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকায় আসছে ইইউর একটি প্রতিনিধিদল। প্রায় দুই সপ্তাহ এই দলটি বাংলাদেশে থাকবে। গত দুই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই ঢাকা আসছে প্রতিনিধিদল। আগামী মঙ্গলবার আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। দলটি সপ্তাহের শেষের দিকে ঢাকা ছাড়বে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ঘুরে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব)। তারও আগে গত বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত চায়নার রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎপর্ব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনবার সংশোধনী এনেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভূ-রাজনীতির কারণে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে অনেকেরই আলাদা নজর পড়েছে দেশটির ওপর। ক্ষমতাধর দেশগুলো চাইছে বাংলাদেশ তাদের দিকে থাকুক। অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের দোহাই দিয়ে তারা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এসব পদক্ষেপ বা তোড়জোড় গণতন্ত্রের ঘাটতি দূর করতে পারবে না বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। বরং তা দেশের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়ে ফায়দা হাসিলের সুযোগ তৈরি হবে। তাই ভূ-রাজনৈতিক কূটনীতিতে কৌশলী হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
গতকাল শনিবার ডিকাব টকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্রুত উন্নয়নের কারণে আমরা অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গুম- এগুলো সব ভাঁওতাবাজি। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশেই মানুষ হারিয়ে যায়, আবার ফিরে আসে। তারা বলে আমাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। অথচ আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না। ড. মোমেন বলেন, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এত মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য জীবন দেয়নি। বিদেশিদের এটা জানা উচিত। তিনি আরো বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশে আসেন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। কিন্তু অনেক সময় তারা এমন সব কথা বলেন, যা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোন ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। হুঁশিয়ারি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকরা তাদের দেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন। কেউ এসে আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করুক, এগুলো আমরা মেনে নেব না। ভোট নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানো গ্রহণযোগ্য নয় বলেও সতর্ক করেন তিনি। মোমেন বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেন, আমেরিকান বলেন, যেই আছে তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে স্বাগত জানাই। ভালো পরামর্শ থাকলে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু যারা মাতব্বরি…। আমাদের ভয়টা হচ্ছে ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’। তারা কেউ কেউ হয়তো নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। সেটা যদি করেন তাহলে দেশের অমঙ্গল ডেকে নিয়ে আসবেন।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তেজগাঁওয়ে অস্থায়ী সভামঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রী বা সংসদের পদত্যাগ- এই তিন বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের এজেন্ডায় নেই। মার্কিন প্রতিনিধিদল আসবে নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়; তারা আসবে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে আগমন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল এসেছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তা দেখতে। সরকার যেমন আছে তেমনই থাকবে। একটা ঢেউও তো জাগাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিদেশিরা এসে কখনো সমাধান করবে না বা করার কথাও নয়। বরং তারা এই বিভাজনটাকে বাড়িয়ে তাদের যতটুকু সুবিধা নেয়ার সেটা নিচ্ছে অথবা না জেনেশুনে তারা এমনটা করছে। ব্যবসা বাণিজ্যের পরই গণতন্ত্র-মানবাধিকার পশ্চিমা দেশগুলোর বৈদেশিক কূটনীতির বড় জায়গা দখল করে আছে। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ভৌগোলিক অবস্থান এবং পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখছে বলেও মনে করেন তিনি। তার মতে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে; সুতরাং বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা হবেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেছেন, আমরা সবার সঙ্গে আছি, কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই।
ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক টিমের ২ সদস্য ঢাকায়, বাকিরা আসছেন সকালে : সরজমিন বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ তথা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুসন্ধানী অগ্রগামী দলের সদস্যরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। শনিবার ইইউর ৬ সদস্যের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের দুজন সদস্য ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকি ৪ জন আজ রবিবার সকালে আসছেন। ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধানের দপ্তর গতকাল বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, আজ রবিবার থেকে ইইউ টিমের দুই সপ্তাহব্যাপী ঢাকা মিশন শুরু হবে। মিশনের মূল কাজ হবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পরিবেশ আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর অনুসন্ধানী মিশন বাংলাদেশে আসছে। এখানে অবস্থানকালে টিমটি সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
উজরার সফর নিয়ে যা বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিভিলিয়ান সিকিউরিটি, ডেমোক্রেসি ও হিউম্যান রাইটসবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। ১১ থেকে ১৪ জুলাই তিনি বাংলাদেশে থাকবেন। ঢাকায় আসার আগে তিনি নয়াদিল্লি যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি এ সফরে ভারতে দেশটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক আরো গভীর ও টেকসই করা নিয়ে আলোচনা করবেন। এর মধ্যে আছে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিন্ন সমাধান, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে তিনি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সংগঠনের সঙ্গে মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন। এদিকে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণার পর উজরা জেয়ার নেতৃত্বে এই সফরকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ। এই সফরে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করার কথা রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের অগ্রগতি এবং নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও কর্তৃপক্ষের মনোভাব জানার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পাশাপাশি শ্রম ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। শিগগির শ্রম আইন সংশোধন হোক- জোর প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের। এই প্রত্যাশা পূরণ হলে চলতি মাসেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক পরিবেশ, জ্বালানি ও প্রবৃদ্ধিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে।
ইইউর মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আসছেন : মানবাধিকারবিষয়ক ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর আগামী ২৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউর ওই বিশেষ দূত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন। এছাড়া তিনি সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ইইউর বিশেষ দূতের ওই সফর মূলত রোহিঙ্গা সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার এই সফরের বিষয় নয়।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ- চায় সরকার পরিবর্তন -ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো এবার বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও। গত শুক্রবার সংবাদভিত্তিক ২৪ ঘণ্টার চ্যানেল প্রেস টিভিতে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপটির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র’। অনুষ্ঠানের একেবারে শুরুতেই উপস্থাপক যুক্তরাষ্ট্রকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বিশ্বজুড়ে তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে নিজের স্বার্থে সরকার পরিবর্তনের ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, ওয়াশিংটন নিজ স্বার্থে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে ওই দেশের মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্য রুট, কৌশলগত অবস্থানকে ব্যবহার করতে চায়। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে বেজিং ঢাকার শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারে পরিণত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ চীনের বিআরআই (বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর চীন প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানব উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচন হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, টানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকার আগামী বছরের শুরুতে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, যার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন-রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে চীন। তবে, বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত দেশটির নির্বাচন নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। আগের নির্বাচনগুলোর সময় বাংলাদেশে ভারতীয় মিশন সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত হলেও এবার তারা নিজেদের এসব থেকে বিরত রেখেছে।