কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পটুয়াখালী জেলায় জমে উঠছে পশুর হাটগুলো। তবে গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ গরু লালন-পালনে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিগত বছরের থেকে এবার গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এদিকে হাটের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা পালনে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অপরদিকে হাটের পাশাপাশি বিভিন্ন খামার ঘুরেও গরু-ছাগল কিনছেন অনেকে। তবে পটুয়াখালী জেলায় আনলাইনে গরু-ছাগল বিক্রি করার কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
পটুয়াখালী জেলার ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৭টি অস্থায়ী হাট মিলিয়ে এবার মোট ৮১টি পশুর হাট বসছে। এসব হাটে স্থানীয় পশুর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা গরু, ছাগল, ভেড়া এবং মহিষ নিয়ে আসছেন খামারি এবং বেপারীরা। তবে হাটগুলোয় ক্রেতা-বিক্রেতারা থাকলেও বিকিকিনি একেবারেই কম। অনেকেই এখন শুধু পশু দরদাম এবং যাছাই-বাছাই করছেন। অপরদিকে হাটের পাশাপাশি বিভিন্ন খামারে গিয়েও পশু পছন্দ করছেন অনেকে।
পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। শহরের অদূরের বিভিন্ন খামার ঘুরে তিনি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘হাটে একটু বেশি লোকজনের জমায়েত খাকে, এ ছাড়া অনেক হাটে দালাল এমনভাবে ঘিরে থাকে যাতে নিজের পছন্দমতো গরু কেনা যায় না। এ কারণে আমি শহরের কালিকাপুর এলাকার একটি খামার থেকে গরু কিনেছি।’
সরকারী হিসেবে পটুয়াখালী জেলার ৩ হাজার ৫৯৫টি খামারে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০টি গরু এবং ছাগল লালন-পালন করা হয়েছে। তবে জেলায় কোরবানি উপলক্ষে পশুর মোট চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫টি।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি গরু-ছাগল রয়েছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের অনিরাপদ উপাদান ব্যবহার করে যাতে গরু, ছাগল মোটাতাজা করা না হয় সেদিকে আমাদের আগে থেকেই বিশেষ নজর ছিল। এরপরও হাটগুলোয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে।