কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৮৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র পার্শ্ববর্তী নিচু স্থানসহ চর-দ্বীপচরের ঘরবাড়িগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার ও শৌচাগারের সংকটে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, শনিবার বিকালে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সবকটি নদ-নদীর পানি তিন-চারদিন পানি ওঠানামা করতে পারে। এরপর পানি নেমে যাবে। কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হবে।