গেল বছরের এই দিনে গলে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তান। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছয় টেস্ট খেলে কোন জয় পায়নি পাকিস্তান। অবশেষে এক বছর পর সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই একই ভেন্যুতেই জয়ের দেখা পেল সফরকারী পাকিস্তান। জয়ের ব্যবধানটাও সেই একই, ৪ উইকেটে। এবারের শ্রীলংকা সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ১৩১ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৪৮ রান করেছিলো পাকিস্তান। গল টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিন ৮৩ রান দরকার ছিলো পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৭ ছিলো উইকেট। ওপেনার ইমাম উল হক ২৫ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শেষ দিনের ষষ্ঠ ওভারে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া। ২৪ রানে বাবরকে থামান তিনি।
দলীয় ৭৯ রানে বাবর ফেরার পর উইকেটে ইমামের সঙ্গী হন প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০৮ রান করা সৌদ শাকিল। শ্রীলঙ্কার বোলারদের শক্ত হাতে সামলে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা।
শাকিলকে ৩০ রানে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন লঙ্কান অফ-স্পিনার রমেশ মেন্ডিস। শাকিল যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ৯ রান দূরে পাকিস্তান। এরপর উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকেও ১ রানে জয়সুরিয়া শিকার করলে লড়াই অব্যাহত রাখে শ্রীলঙ্কা। ঐ সময় পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৪ রান। ঐ ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে শ্রীলঙ্কার আশাকে ভেস্তে দিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন আগা সালমান।
টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমাম। ৮৪ বল খেলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান। শ্রীলঙ্কার জয়সুরিয়া ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেন।
এই নিয়ে গলে তৃতীয় জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। এ ভেন্যুতে সফরকারী দল হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ষষ্ঠ জয় পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ে ইংল্যান্ডের রেকর্ড স্পর্শ করলো পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ২০৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করে ম্যাচ সেরা হন পাকিস্তানের শাকিল। আগামী ২৪ জুলাই থেকে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দুই দল।