২১ নভেম্বর পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। এবারই প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। আনুমানিক ১.২ মিলিয়ন সমর্থকের ভ্রমণ প্রত্যাশা করছে দেশটি। যাদের আতিথেয়তায় কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না আয়োজক কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ইসলামি আইন মানতে বাধ্য করা হবে দর্শকদের। মধ্যপ্রাচ্যের কড়া ধর্মীয় নীতিতে বেকায়দায় পড়তে হবে দেশটিতে যেতে চাওয়া সমর্থকদের। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সর্বশেষ সংযোজন গ্যালারিতে বসে মদ্যপান করতে পারবেন না দর্শকরা।
মদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। তবে আয়োজকদের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপে মোটাদাগে নিষিদ্ধই থাকছে মদ। টুর্নামেন্ট পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত একজন বললেন, ‘এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিষয়টি। তবে বর্তমানে মত হচ্ছে, স্টেডিয়ামের বাইরে খেলা শুরু আর শেষের আগে হয়তো বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে। স্টেডিয়ামের ভেতর অবশ্য কাউকে অ্যালকোহল নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’মদ্যপানের সঙ্গে ফুটবলের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল বিষয়। ফিফার চাপে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল স্বাগতিক ব্রাজিল। কাতারে জনবহুল স্থানে অ্যালকোহল পান করা বেআইনি। তবে বিশ্বকাপে দর্শকরা কাতারের রাজধানী দোহার আল বিদ্দা পার্কের মূল ফিফা ফ্যান জোনের নির্দিষ্ট কিছু অংশে নির্দিষ্ট সময়ে বিয়ার কিনতে পারবেন। স্টেডিয়াম ও প্রধান ফ্যান জোন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দোহা গলফ ক্লাবের একটি অব্যবহৃত কোণে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার দর্শকের জন্য অ্যালকোহলও পাওয়া যাবে।কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি ও আয়োজকদের একজন মুখপাত্র বলেন, ফিফার সঙ্গে একত্রে তারা ২৮ দিনের এই টুর্নামেন্টে অ্যালকোহলের প্রাপ্যতা নিয়ে পরিকল্পনা নির্দিষ্ট সময়ে ঘোষণা করবে।