ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা।
বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই বৈঠকটি শুরু হয় এবং শেষ হয় সকাল ১০টার দিকে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকটি গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
একদফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের একদিন আগে এই বৈঠক হলো।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকায় মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সরকার পতনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকায় এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। মহাসমাবেশই বিএনপির ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
আগামী ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পর লাগাতার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সেই পর্বের সূচনা হতে পারে। তার আগে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, ‘চলো চলো, ঢাকা চলো’ স্লোগান তুলে বিএনপির ৮২ সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীরা আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এরই মধ্যে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষকে সমবেত করে একদফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে দলটি।
জানা গেছে, মহাসমাবেশ থেকে সরকারকে দুদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া না হলে সপ্তাহব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে। এরপর আগস্ট মাসজুড়েও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এভাবেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে চায় বিএনপি। তবে সরকার কঠোর অবস্থান বা রাজনৈতিকভাবে বাধা সৃষ্টি করা হলে আন্দোলনের ধরন বদলানোর চিন্তাও রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধে নিজেদের ভূমিকা পালনে সবার অধিকারকে সমর্থন করে। ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।’
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থার ব্যবহার।