আব্দুল্লাহ শফিকের ডাবল ও আগা সালমানের সেঞ্চুরিতে কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ১৬৬ রানের জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ১৩২ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৬৩ রান করেছে সফরকারীরা। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৯৭ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। শফিক ২০১ রানে থামলেও, ১৩২ রানে অপরাজিত আছেন সালমান। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সাত টেস্টেই হাফ-সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের সৌদ শাকিল।
দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে মাত্র ১০ ওভার খেলা হয়। দিন শেষে ২ উইকেটে ১৭৮ রান করেছিলো পাকিস্তান। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১২ রানে এগিয়ে ছিলো তারা। শফিক ৮৭ ও অধিনায়ক বাবর আজম ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
গতকাল বুধবার তৃতীয় দিন নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি বাবর। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে শ্রীলঙ্কার স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে লেগ বিফোর আউট হন বাবর। তৃতীয় উইকেটে শফিকের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়েন বাবর। এই জুটিতেই ১৪তম টেস্টে চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন শফিক।
এরপর চতুর্থ উইকেটে সৌদ শাকিলের সাথে ১০৯ রানের জুটি গড়েন শফিক। ৫৭ রানের ইনিংস খেলার পথে বিশ্বরেকর্ড গড়েন শাকিল। ক্যারিয়ারের প্রথম সাত টেস্টেই হাফ-সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তিনি। প্রথম ছয় টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে ভারতের সুনীল গাভাস্কার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাসিল বুচার, পাকিস্তানের সাঈদ আহমেদ ও নিউজিল্যান্ডের বার্ট সাটক্লিফের।
শতকের পর ইনিংস বড় করে ৩২৩ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন শফিক। ডাবল সেঞ্চুরির পর জয়সুরিয়ার শিকার হয়ে ২০১ রানে থামেন ৩২৬ বল খেলে ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারা শফিক। ৪৬৮ রানে শফিকের বিদায়ের পর জুটি গড়েন সালমান ও কনকাশন হিসেবে নামা উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। হেলমেটে বলের আঘাতে ১৪ রানে আহত অবসর নেন সফরফরাজ আহমেদ।
রিজওয়ানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন সালমান। এই জুটিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সালমান। দিন শেষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ১৩২ রানে অপরাজিত আছেন তিনি । ১৪৮ বলের ইনিংসে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন সালমান। ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন রিজওয়ান। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো ৩টি ও জয়সুরিয়ার ২টি উইকেট নিয়েছেন।