লিওনেল মেসিকে বাদ দিয়ে আর্জেন্টিনার একজন ফুটবলার পায়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ট্যাটু আঁকবেন, ব্যাপারটি অবিশ্বাস্যই। তবে অবিশ্বাস্য এই কাণ্ডটিই ঘটিয়েছেন আর্জেন্টিনার একজন ফুটবলার! যেনতেন পর্যায়ের খেলোয়াড় নন, কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন আর্জেন্টিনার নারী জাতীয় দলের এক ফুটবলার। নাম ইয়ামিলা রদ্রিগেজ। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের সঙ্গী হয়ে তিনি বতর্মানে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে চলমানে নারী ফুটবল বিশ্বকাপে খেলছেন।
২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইয়ামিলা রদ্রিগেজ নিজের বাঁপায়ে শুধু রোনালদোর মুখোচ্ছবি আঁকিয়েই থামেননি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তার একটা ছবিও পোস্ট করেন। গত সপ্তাহে এই পোস্টটি করেই ধরা খেয়েছেন ইয়ামিলা রদ্রিগেজ। একজন আর্জেন্টাইন হয়েও মেসিকে বাদ দিয়ে তার চিরশত্রু রোনালদোর মুখোচ্ছবির ট্যাটু পায়ে আঁকানো, বিষয়টা ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইনরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কটু ভাষায় লাগাতার সমালোচনায় ইয়ামিলার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ছেন।
খারাপ, খারাপ ভাষা তো ব্যবহার করছেই, কেউ কেউ ইয়ামিলাকে মেসির শত্রু বা মেসি-বিরোধী হিসেবেও চিহ্নিত করার চেষ্ট করছেন। ইয়ামিলা আর্জেন্টিনার প্রয়াত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার ট্যাটু ঠিকই পায়ে এঁকেছেন। কিন্তু মেসির ট্যাটু আঁকেননি। তার পরিবর্তে রোনালদোর ট্যাটু এঁকে এবং তা বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশ করে ধরা খেয়েছেন।
সমালোচনার তোড় এতটাই প্রবল বেগে বইয়ে যে, ইয়ামিলা বিশ্বকাপ খেলাতেই মনোযোগ দিতে পারছেন না। তাই ইনস্টাগ্রামে আরেকটা ছবি পোস্ট করে ইয়ামিলা নিজের পায়ে রোনালদোর ট্যাটু আঁকানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবার যে ছবিটা পোস্ট করেছেন ইয়ামিলা, সেটি আসলে মেসি ও রোনালদোর গ্রাফিকস। ছবিটিতে রোনালদো মেসির কাঁধে হাত দিয়ে আছেন। চলমান নারী বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গেছে আর্জেন্টিনার মেয়েরা। ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নামা ইয়ামিলা সমালোচকদের জবাব দিতে প্রথমেই বলেছেন, ‘দয়া করে থামুন। আমি কোনো সময় বলেছি যে, আমি মেসি-বিরোধী? আমি যা বলিনি, তা বলা বন্ধ করুন। কারণ, আপনাদের জন্য আমার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কারো কোনো আদর্শ বা পছন্দের খেলোয়াড় কি থাকতে পারে না?’
ইয়ামিলা আরো লিখেছেন, ‘মেসি আমাদের জাতীয় দলের গ্রেট অধিনায়ক। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আমার আদর্শ ও প্রেরণা। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আমি মেসিকে ঘৃণা করি। যথেষ্ট হয়েছে, এবার থামুন। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।’ তার এই ব্যাখ্যায় কি সমালোচকদের মুখ বন্ধ হবে?