দেশের ফুটবল এই দিনটার দিকে তাকিয়ে ছিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডা বিশ্বকাপ ফুটবল এবং ২০১৭ এশিয়ান কাপ ফুটবলের ড্র হয়ে গেছে মালয়েশিয়ায়। র্যাংকিংয়ের হিসাব ধরে শেষের ১০টি দেশকে দুই ভাগ করা হয়েছে। ১ নম্বর রাউন্ডে ১৮টি দল একটি করে ম্যাচ পেয়েছে। বাংলাদেশও একটি ম্যাচ পেয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইয়ে। বাংলাদেশ খেলবে মালদ্বীপের বিপক্ষে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। একটি ম্যাচ ১২, অন্যটি ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ কত দূর এগিয়ে যেতে পারবে, সেটা নির্ভর করছে মালদ্বীপ ম্যাচের ওপর। মালদ্বীপকে টপকে যেতে পারলে ‘আই’ গ্রুপে বাংলাদেশের সামনে আসবে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবানন। এখানে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে নিয়মে এই তিন দলের বিপক্ষে আরও ছয়টি ম্যাচ পাবে।
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ায় যাবে, অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশে আসবে। অন্য দুই দলও এভাবে খেলবে। সমীকরণের কঠিন হিসাব করে এই পর্ব পার হতে পারবে কি না, তা বলা কঠিন। পার হতে পারলে আরও ম্যাচ পাবে। যতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে, ততক্ষণ ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ। আর যখনই বিদায় নেবে, তখনই ফিফার ম্যাচ পাওয়ার পর্বটাও শেষ হয়ে যাবে। এই হিসাব এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে। বিশ্বকাপের বাছাই থেকে বিদায় নেওয়ার পর এশিয়ান কাপের হিসাব বাদ পড়া দলগুলোকে নিয়ে। সেখানে প্লে অফ ম্যাচ খেলতে হবে। আরও সহজ করে বললে, এশিয়ার যেসব দল বিশ্বকাপ বাছাই থেকে বিদায় নেবে তারা এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ঢুকে প্লে অফ খেলবে। এশিয়ান কাপের পর্ব শেষ হলে আন্তর্জাতিক ফুটবলের পর্বটাও শেষ হয়ে যাবে। সে সময় ফিফার প্রীতি ম্যাচ ছাড়া তিন বছর ফিফা বা এএফসির কোনো ম্যাচ পাবে না। যেটা হয়েছিল ভুটানের কাছে হেরে। এক কথায়, অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের ওপর বাংলাদেশে ভাগ্য নির্ভর করছে।
মাত্র এক মাস আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলে এসেছে বাংলাদেশ। ভারতের বেঙ্গালুরুতে গত ২৫ জুন বাংলাদেশ ৩-১ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপকে। আবার সেই মালদ্বীপই এখন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।