টুইটার কেনার ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল করেছেন ইলন মাস্ক। এ ঘোষণায় টুইটারের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে গেছে।
সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সেচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) পাঠানো চিঠিতে মাস্কের আইনজীবী বলেন, টুইটার ভুয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে করা একাধিক অনুরোধে সাড়া দেয়নি বা তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কিন্তু এটা কোম্পানির ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতার জন্য মৌলিক দিক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, টুইটার কখনো মাস্কের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে, কখনো এগুলোকে অযৌক্তিক মনে হওয়ায় প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার কখনো মাস্ককে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সেগুলোকে মানতে বলেছে।
তবে, সংবাদ সংস্থা এপি ও রয়টার্স টুইটারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে শুক্রবার টুইটার কোম্পানির বোর্ড চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর এক টুইট বার্তায় বলেন, চুক্তি কার্যকরের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে টুইটার।
টুইটার কেনার সময় হওয়া চুক্তির শর্তানুসারে, চুক্তিটি বাতিল করলে মাস্ককে এক বিলিয়ন ডলার দিতে হবে।
চুক্তি বাতিলের কারণ হিসেবে মাস্ক টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের বিষয়টিও সামনে আনেন। তিনি বলেন, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিভাবান এক-তৃতীয়াংশ দক্ষ কর্মী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উপাদান নষ্ট করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে প্ল্যাটফর্মটি মাস্কের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়েছিল। এরপর মাস্ককে টুইটারের অভ্যন্তরীণ ডেটার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। কিন্তু মাস্কের দল এখনো টুইটারে কত শতাংশ জাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খুঁজে বের করতে পারেনি।
টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়াল গত মে মাসে বলেছিলেন, প্ল্যাটফর্মে মাত্র পাঁচ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আবার অনেক অ্যাকাউন্ট ভুয়া দেখালেও সেগুলো সঠিক ব্যক্তি দ্বারাই পরিচালিত। কিন্তু কিছু অ্যাকাউন্ট আসলেই ভুয়া। বাইরে থেকে আসল মনে হলেও এগুলোই মূলত আমাদের জন্য বিপজ্জনক।