কিছু শিশু জন্মগত আবার কিছু জন্ম পরবর্তী হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালের আই সি ইউ অথবা সাধারণ ওয়ার্ডে শুয়ে আছে।কারো নাক দিয়ে দুধ বা তরল খাবার দেয়া হচ্ছে।কারো কারো বুক ছিদ্র করে চিকিৎসা সরঞ্জাম লাগানো। আর চিন্তাগ্রস্ত ,অসহায় ,বুক ভরা কষ্ট নিয়ে এসব শিশুর কারো মা,কারো বাবা ,কারো নানী অথবা কারো খালা তাদের শিয়রে বসে ,কখনো কোলে নিয়ে সৃষ্টিকর্তার পানে চেয়ে আছেন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পেডিট্রিয়াটিক কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের চিত্র ছিল অনেকটাই এরকম।
এদিন সকাল ১১ টায় এনআইসিভিডি,বাংলাদেশ অক্সিলারী সার্ভিসেস ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (BASSA)এবং অগ্রগামী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ACDF)এর সম্মিলিত উদ্যোগে এই কোমলমতি শিশুদের ঈদ আনন্দ দেয়া,তাদের পরিবারের পাশে থেকে কষ্ট গুলো ভাগ করে নেয়া এবং কিছুটা মানসিক ভাবে সাহসী করে তোলার প্রয়াসে তাদের মাঝে ঈদ পোশাক ও খেলনা সামগ্রী উপহার হিসাবে দেয়া হয়।
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনআইসিভিডি,বাংলাদেশের চিকিৎসক ডা. অধ্যাপক আবদুল্লাহ শাহরিয়ার। ‘বাসা’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ফ্লাওয়ার মুন্সি এবং অগ্রগামী ফাউন্ডেশনের ক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ আশাফুজ্জান এফ সি এ,জেনারেল সেক্রেটারি রুখসানা পারভীন ঝুমু। কর্তব্যরত
চিকিৎসক ,নার্স এবং অফিস সহযোগীদের আন্তরিকতায় অনুষ্ঠানটি পূর্ণ মাত্রার রূপ পায়।
বাসা ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে। অন্যদিকে এনআইসিভিডি এবং বাসার সাথে মানবিক কল্যাণে একসাথে কাজ করার জন্য অগ্রগামী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন সবসময় প্রস্তুত।