অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা একটু একটু করে কাটিয়ে উঠছে শ্রীলঙ্কা। আর তার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশটির জনগণ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত জুলাইয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
তারচেয়েও চমকপ্রদ তথ্য হলো, গত সেপ্টেম্বরে যখন শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট চরমে, তখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। কিন্তু পরের ১০ মাসে সেই মূল্যস্ফীতি ১০ গুণেরও বেশি কমিয়ে এনেছে লঙ্কান সরকার।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কলম্বো ভোক্তা মূল্য সূচকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ এক মাস আগে অর্থাৎ এ বছরের জুনে তা ছিল ১২ শতাংশ। এর অর্থ দাঁড়ায় এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বিগত দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে এই প্রথমবার মূল্যস্ফীতির হার এক অংকে নামলো।
২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সেসময় নজিরবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর আমদানির বিধিনিষেধ ফের শিথিল করে লঙ্কান সরকার।
এছাড়া বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে আগেই জানিয়েছিলেন, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই দেশটিতে এক অংকে নামতে পারে মূল্যস্ফীতি।