পশ্চিমা গণমাধ্যমের বেশিরভাগ খবরই মিথ্যা। পশ্চিমা সংবাদপত্র প্রকৃতপক্ষে সামরিক সেন্সরশিপের মুখোমুখি হচ্ছে কারণ মিডিয়ারা তাদের বিশেষ পরিষেবা থেকে ভুয়া খবর প্রচারের বিশেষ নির্দেশনা পেয়ে থাকে। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
পেসকভ বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মিডিয়া আউটলেটগুলো হল দুঃখজনকভাবে অ্যাংলো-স্যাক্সন, আমেরিকান এবং ব্রিটিশ। এখানে প্রচুর সিরিয়াস মিডিয়া আউটলেট রয়েছে এবং প্রচুর প্রতিভাবান, বুদ্ধিমান এবং পেশাদার সাংবাদিক রয়েছেন। তবে এখন যেহেতু তারা সবাই আমাদের ওপর এই যুদ্ধ শুরু করেছে, তারা সম্পূর্ণ সামরিক সেন্সরশিপের অধীনে বাস করছে।’
ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমা বিশেষ বাহিনী জাল রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য মিডিয়াগুলোকে নিয়মিত ব্রিফিং করে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বিশ্বাস করেন তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করা উচিত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগেও বহুবার বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ভুয়া খবর প্রচার করে রাশিয়ানদের ধোঁকা দেওয়া যাবে না।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর মস্কোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে একটি বার্তা দিয়েছিল। ওই বার্তায় ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল দূতাবাসের বিরুদ্ধে। এই বিবৃতি প্রকাশের পাশাপাশি মস্কো মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারেরও হুমকি দেয়।