১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগরি দম্পতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত এই জুটির হঠাৎ বিচ্ছেদের ঘোষণায় বিস্মিত হয়েছে অনেকেই। কিন্তু কেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন তারা? জানতে চান অনেকেই।
২০০৪ সালে তাদের বাগ্দান হয়। ২০০৫ সালে ট্রুডো ও সোফি বিয়ে করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান।
ট্রুডোর সঙ্গে সোফির বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্টভাবে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি প্রথম প্রকাশ হয়েছে ইনস্টাগ্রামে। গতকাল বুধবার ট্রুডো ও সোফির নিজ নিজ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন।
ট্রুডো ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘সোফি ও আমি আপনাদের জানাতে চাই, অনেক খোলামেলা ও গঠনমূলক আলোচনার পর আমরা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব সময়ের মতো আমরা ঘনিষ্ঠ পরিবার হিসেবে থাকব। আমাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা থাকবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে। আমরা যা কিছু গড়ে তুলেছি এবং যা কিছু গড়ব, সবকিছুর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকবে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের সন্তানদের মঙ্গলের কথা ভেবে আপনারা আমাদের এবং তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই দম্পতি বিচ্ছেদ সংক্রান্ত আইনি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। আরেকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিচ্ছেদের খবর প্রকাশের আগেই সোফি পারিবারিক বাড়ি ছেড়ে অটোয়াতে আরেকটি বাড়িতে উঠেছেন।
ট্রুডোর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তারা সব ধরনের আইনি ও নৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং সামনেও সে অনুযায়ী কাজ করবেন। তারা ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতোই থাকবেন। সোফি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের সন্তানদের নিরাপদ, প্রেমময় এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বড় করার ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন। আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া ছুটিও তারা একসঙ্গে কাটাবেন।’
২০১৫ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। জাস্টিন ট্রুডোর বাবাও ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বরাবরই জনগণের কাছে পরিচিত মুখ। দেশের জনগণ যেমন তার সাফল্যে আনন্দিত হয়, তেমনি তার এই খারাপ সময়েও মর্মাহত হয়েছে।