ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে শনিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। এই সুযোগে মহাসড়কের আশপাশের অস্থায়ী হকাররা পানি, কলা, পাউরুটিসহ বিভিন্ন খাবার অধিক দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে যানজটে আটকে থাকা মানুষকে পানি ও ফল বিতরণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে একদল যুবক। শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ও মিরহামজানি এলাকায় মানুষকে পানি ও ফল বিতরণ করেন তারা।
কালিহাতী উপজেলার মিরহামজানি গ্রামের বেল্লাল হোসেন, লাল মিয়া, সেলিম, ফরিদসহ বেশ কয়েকজন যুবকরা মিলে যানজট পরিবহণ যাত্রীর তৃষ্ণার্তদের মাঝে পানি ফল ও খাবার বিতরণ করেছেন। এছাড়া ওই গ্রামের নারীরা পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ফলও খেতে দিচ্ছেন যানজটে আটকে থাকা মানুষদের।
শনিবার সকাল বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল। বেলা বাড়ার পরে থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতি রয়েছে যানবাহন।
শরিফুল এক বাসযাত্রী বলেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে যানজটের আটকা রয়েছি প্রচণ্ড গরমে পানির তৃষ্ণা পাই। কোথাও পানি পাচ্ছিলাম না। অথচ হঠাৎ কালিহাতীর এলেঙ্গায় বিনা পয়সায় একদল যুবক বোতল করে পানি বিতরণ করেছে। এসময় আমিও এক বোতল পানি পেয়েছি। এতে আমার মতো হাজারো মানুষের উপকার হয়েছে। যারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দোয়া রইলো।
কুষ্টিয়ার গোপাল মিয়া বলেন, টাঙ্গাইল যানজটে পড়ে আধা লিটার পানি ২৫ টাকা দিয়ে কিনে খেয়েছি। এখানে এসে দেড় লিটার পানি ফ্রিতে পেয়েছি। যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ হলেও পানি সরবরাহ দেখে খুবই ভালো লাগছে।
ট্রাক চালক আলী আজম বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়ি চালাই। কিন্তু যানজটে পড়লে কাউকে কখনো ফ্রিতে পানি সরবরাহ করতে দেখিনি। এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
স্বেচ্ছাসেবক বেল্লাল হোসেন, লাল মিয়া, সেলিম ও ফরিদ বলেন, যানজটে আটকে থাকা মানুষদের সঙ্গে অনেকেই অন্যায় করে থাকেন। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়ে পানি সরবরাহ করছি। যতক্ষণ যানজট আছে ততক্ষণ পানি সরবরাহ করবো।