যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পুরোনো সমর্থকদের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বাংলাদেশের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার শেখ মো. আসলাম শুনলেন স্টেডিয়ামের ভেতরে ডুরান্ড কাপ ফুটবলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে। নিরাপত্তার জিজ্ঞাসা পেরিয়ে ঘেমে চুপচুপে পাঞ্জাবি গায়ে আসলাম ভিভিআইপি বক্সে ডাক পেয়েও সেখানে না গিয়ে ভিআইপি গ্যালারিতে গিয়ে বসলেন। সেখানেও ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকদের পাল্লায় পড়লেন।
সৌজন্যতা শেষ করে সিটে বসতে বসতে মোহন বাগান গোল পেয়ে গেল। পর পর তিন গোল দেখে আসলাম স্টেডিয়াম ছেড়ে হোটেলের পথে ছুটলেন। মনটা খারাপ হয়ে গেল। দেখা হওয়ার পর বলছিলেন মোহন বাগানের ফুটবলাররা চাইছে সেনাবাহিনীর ফুটবল দল আমাদের আক্রমণ করুক। ওরা উপরে উঠে আসুন। সেই সুযোগটা কাজে লাগাবে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। মোহন বাগান জুনিয়র দল নিয়ে খেললেও ওদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন।’
সেদিন রাতে মোহন বাগান-সেনাবাহিনীর ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের ভিভিআইপি বক্সের নিচে রেফারি রাহুল কুমার গুপ্ত পেনাল্টির প্রশ্নে বলছিলেন, ‘ওটি জেনুইন।’ এর ব্যাখ্যাও দিয়ে দিলেন। তার সারমর্মই হচ্ছে,‘ ফাউল করে না আটকাতে পারলে বিপদ হয়ে যাবে। কারণ সাজানো গোছানো আক্রমণ ছিল, রক্ষণভাগ বুঝতে পারছিল বিপদ হবেই। সেটি থামাতে গিয়ে এ ধরনের জায়গায় বড় কিংবা কঠিন অপরাধ করে ফেলেন ফুটবলাররা। এক কথায় এটি কমিটেড ফাউল।’