পাকিস্তানে শক্তি ও খাদ্যের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে এই সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতি ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে বর্তমানে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস) অনুসারে, সংবেদনশীল মূল্য নির্দেশক (এসপিআই) বৃদ্ধির জন্য টমেটো (১৬.৮৫ শতাংশ), এলপিজি (৯.৮২ শতাংশ) এবং পেট্রোলের (৭.৮৬ শতাংশ) দাম বেড়েছে। পাশাপাশি ডিজেল (৭.৮২ শতাংশ), মরিচের গুঁড়া (৭.৫৮ শতাংশ), রসুন (৫.৭১ শতাংশ), পেঁয়াজ (৫.৫০ শতাংশ), গুঁড়ো দুধ (৫.১৭ শতাংশ), ডিম (৩.৮৬ শতাংশ) এবং ভাঙা বাসমতি চালের (২.০৬ শতাংশ) দাম বেড়েছে।
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপাকে পড়েছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মায়েরা সন্তানের খাবারের যোগান নিয়ে বেশি চিন্তিত। স্থানীয় দোকানগুলোতে মুরগির মাংস ৬০০ রুপি এবং গরুর মাংস ১১০০ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন গমের আটা, সিগারেট, গ্যাসের চার্জ, চা ইত্যাদির দাম ১০০ শতাংশের বেশি পরিমাণে বৃদ্ধির কারণে মুদ্রাস্ফীতি ১৯.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যে সব পণ্যের দাম কমেছে তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, বিদ্যুৎ, মসুর ডাল এবং উদ্ভিজ্জ ঘি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিস্ময়কর মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসসহ পাকিস্তান বিশাল এক অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। কয়েক সপ্তাহ আগে, আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ খেলাপি হওয়া এড়াতে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেলআউট অনুমোদন করেছিল।
আকাশ চুম্বি মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে আসায় পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের চুক্তির অনুপস্থিতিতে ঋণ খেলাপি হয়ে উঠতে পারে দেশটি।