পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের গ্রেপ্তার দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্য নিউজের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
তারা জানায়, ‘ইমরান খান ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
শনিবার দেশটির একটি আদালত তোশাখানা মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা করে এবং তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই বছরের শেষের দিকে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে ধারণা করা হচ্ছে,নির্বাচনে দাঁড়ানো থেকে তাকে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপ এটি।
বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার এই একটি মামলার রায়ে লিখেছেন, ‘তার অসততা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি অনেক উপহার পেয়েছেন এবং সেগুলোর যথাযথ হিসাব দেননি।
তিনি আরও বলেন, তিনি(ইমরান খান) ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় কোষাগার থেকে অর্জিত সুবিধাগুলো গোপন করে দুর্নীতির চর্চার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’
শনিবার ইমরান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তারের আগে খানের একটি ভিডিও বিবৃতিতে তার সমর্থকদের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমার পাকিস্তানি অনুসারীরা,তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে এবং এই বার্তাটি আপনাদের কাছে যখন পৌঁছাবে তখন আমি জেলে থাকব।আমার শুধু একটি অনুরোধ এবং আবেদন,আপনি বাড়িতে চুপ করে বসে থাকবেন না।’
তিনি আরও বলেন,’এই যুদ্ধ ন্যায়বিচারের জন্য, আপনাদের স্বাধীনতার জন্য শিকল এমনিতেই খুলে পড়বে না, এগুলোকে ভেঙে ফেলতে হবে। তোমাদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমরা তোমাদের অধিকার আদায় করে নিতে পারবে।’