জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যা আগামী বছর ১শ ৪০ কোটিতে উঠবে। এর ফলে দেশটি জনসংখ্যায় বর্তমানে শীর্ষে থাকা চীনকে ছাড়িয়ে তখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে।
পরিসংখ্যান বলছে আগামী নভেম্বরের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৮শ কোটি। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি আগের মতো দ্রুতগতিতে হচ্ছে না বলেও পরিসংখ্যানে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ।
জাতিসংঘ বলছে,জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি এখন ১৯৫০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ধীর। এ বৃদ্ধি শীর্ষে পৌঁছাবে ২০৮০ এর দশকের কাছাকাছি সময়ে । তখন বিশ্বের লোকসংখ্যা হবে প্রায় ১ হাজার ৪০ কোটি। তবে কিছু জনসংখ্যাবিদ মনে করেন, এটি আরও আগেই ঘটতে পারে।
তবে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রসারিত হচ্ছে অসমভাবে। আগামী ৩০ বছরে আমরা যে জনপ্রবৃদ্ধি দেখতে পাবো তার অর্ধেকেরও বেশি হবে মাত্র আটটি দেশে: কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়ায়।
একই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যে জনসংখ্যার হ্রাস দেখতে পাচ্ছে। প্রজনন হার নারী প্রতি ২.১ টি শিশুর নিচে নেমে যাওয়ায় তা হয়েছে। ২.১ শিশুর জন্ম ‘প্রতিস্থাপন হার নামে পরিচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬১ টি দেশে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা কমপক্ষে ১% হ্রাস পাবে।
বিশ্বের সর্বনিম্ন প্রজনন হারের দেশগুলোর মধ্যে একটি (নারীপ্রতি ১.১৫ শিশু) চীন ঘোষণা করেছে, তার জনসংখ্যা আগামী বছর কমতে শুরু করবে। যা পূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক আগে। ২০১৬ সালে চীন তার এক সন্তান নীতি পরিত্যাগ করে। এরপর দম্পতিদের দুই বা ততোধিক সন্তান নেওয়ার জন্য প্রণোদনা চালু করা সত্ত্বেও জনসংখ্যা কমতির দিকে যাবে।