ধর্মীয় অবমাননার গুজবের জেরে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের জরানওয়ালায় গির্জা এবং খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
পবিত্র কোরআন অবমাননা অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার দিনের প্রথম দিকে শিল্পনগরীর উপকণ্ঠে খ্রিস্টান অধ্যুষিত একটি এলাকায় শত শত লোক হামলা চালায়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে পাকিস্তানে কোরআন অবমাননার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় গির্জা এবং বাড়িঘরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন মতপ্রকাশকে সমর্থন করলেও, সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি কখনই অভিব্যক্তির গ্রহণযোগ্য রূপ নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এই অভিযোগগুলোর পূর্ণ তদন্ত করার এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।’
ধর্মের নামে নিন্দা ছড়ানো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে একটি সংবেদনশীল বিষয়। দেশটিতে কেউ ইসলাম বা ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে অপমান করেছে বলে মনে করা হলে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন করাও হতে পারে।
সমালোচকরা বলছেন, প্রায়ই অমুসলিমদের ওপর অত্যাচার করার উপায় হিসেবে ইসলামের অবমাননার গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
দেশটিতে নতুন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী শপথ গ্রহণের পর এটাই বড় ধরনের সহিংসতা। সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যেহেতু পাকিস্তান তার সংবিধান এবং বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আমাদের ভাগ করা অঙ্গীকারকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ইতোমধ্যে ফয়সালাবাদের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কাকার। ব্লিঙ্কেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাকিস্তানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেই এবং এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতার জন্য ভাগ করা অঙ্গীকারকে গভীরভাবে মূল্য দেই।’