রপ্তানি বাণিজ্যকে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে জাহাজিকৃত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেবে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা সব অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৩টি পণ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট খাতের পণ্য) রপ্তানির বিপরীতে এই প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়া হবে। গতবারও এই ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছিল।
আগের মতোই চলতি অর্থবছরেও রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত অডিট ফার্ম দ্বারা নিরীক্ষা করানো যাবে।
যেসব খাতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে তা হলো :
রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে ৪ শতাংশ, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য, নতুন বাজারে (বস্ত্র খাত) ৪ শতাংশ তবে আমেরিকা, কানাডা, ইইউ, ইউকে বাদে, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ, তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ, শাকসবজি ও ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতে ২০ শতাংশ, হাল্কা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, পাটজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে ৭-২০ শতাংশ, এপিআই রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস ও হালাল প্রক্রিয়াকৃত মাংসজাত পণ্যে ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি খাতে ২-১০ শতাংশ, চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, নিজস্ব ইটিপি রয়েছে—
এরূপ কারখানাসমূহে উত্পাদিত ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উত্পাদিত কার্বন ও জুট পার্টিকেল বোর্ড রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, ফার্নিচার রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, শস্য ও শাক সবজির বীজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, আগর ও আতর রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারিতে ১৫ শতাংশ, সিনথেটিক ও ফেব্রিকসের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা ও ব্যাগ রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, দেশে উত্পাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার রপ্তানিতে ১০ শতাংশ এবং সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা রপ্তানিতে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যে ১০ শতাংশ, হাতে তৈরী পণ্য (হোগলা, খড়, আখের,নারিকেলের ছোবড়া, গাছের পাতা, খোল, গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, গরু মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত) রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, মোটর সাইকেল রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড) রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, রেজার ও রেজার ব্লেডস্ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, সিরামিক দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, টুপি রপ্তানিতে ১০ শতাংশ; কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রপ্তানিতে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, চাল রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক এ অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে রপ্তানিতে ১- ৪ শতাংশ, চা রপ্তানিতে ৪ শতাংশ, বাইসাইকেল ও এর পার্টস রপ্তানিতে ৪ শতাংশ ও দেশে উত্পাদিত সিমেন্ট শিট রপ্তানিতে ৪ শতাংশ।