ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও এখন কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও তিস্তাপাড়ের মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। সেই সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। দিনভর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করে। বন্যায় জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল।
পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত জানান, শুক্রবার থেকে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে কৃষকের ফসল ডুবে যায়। শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয়দের দাবি, তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া,হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী,সিন্দুর্না এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, শুক্রবার রাত থেকে বাড়তে শুরু করে তিস্তার পানি প্রবাহ। শনিবার সকাল থেকে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বিকেলে নেমে যায়। এখন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।